নিউজ ডেস্ক:
বাসে অগ্নিসংযোগের মামলায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিএনপি সমর্থক ৬ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসময় আদালত একই মামলায় এক নারী কাউন্সিলরসহ অপর দু’কাউন্সিলরের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন।
যাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের হান্নান মিয়া হান্নু, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শহিদুল ইসলাম, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সফিউদ্দিন সফি, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ মো. আলেক ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফয়সাল আহমেদ সরকার। তারা সবাই বিএনপি সমর্থক কাউন্সিলর।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল রাত সোয়া ৮টার দিকে জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় ৬০/৭০ জন দুষ্কৃতিকারী নাশকতা করার উদ্দেশ্যে কালিয়াকৈর-গাজীপুর রুটে চলাচলকারী কেপি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাস্তায় গাড়ি ভাংচুর করে। এঘটনায় পুলিশ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানসহ কয়েকজনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার এস আই আহাদুল ইসলাম বাদী হয়ে নাশকতার অভিযোগে মেয়র ও ৯ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ৪০ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০/৩০ জন বিএনপি’র নেতাকর্মীকে আসামী করে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হাফিজুর রহমান আরো তিনজন কাউন্সিলরসহ ১৬ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং মেয়র এম এ মান্নানসহ মোট ৫১ জনের নামোল্লেখ করে ওই বছরের ২৭ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনায় সংশ্লিষ্ট না থাকায় আটজনের নাম আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ওই মামলায় চার্জশিটভুক্ত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পলাতক ৮ জন কাউন্সিলর মঙ্গলবার গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে ওই আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন ওই ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসময় অপর দুই আসামি ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুলতান উদ্দিন আহমেদ ও সংরক্ষিত নারী ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিরিন চাকলাদারের জামিন মঞ্জুর করেন।