সিরাজগঞ্জে নাশকতা, সরকারি কাজে বাঁধাসহ একাধিক মামলার আসামী বিএনপি নেতা কে. এম আতিকুর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের পরিবারের উপর হামলা-বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাটসহ মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানীর প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের খোর্দ্দ শিয়ালকোল মোড় এলাকায় ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য ফারুক খন্দকারের পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান সরকার।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা খন্দকার আতিকুর রহমান জিয়া সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের খোর্দ্দ শিয়ালকোল গ্রামের মৃত ইসহাক আলী খন্দকারের সন্তান। এছাড়াও জিয়া সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এলাকায় মাদক, নারী কেলেংকারী, আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যদের মারপিট, বাড়ীঘর ভাংচুর, জোরপূর্বক জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে এলাকার অসহায় নারী পুরুষকে হেনস্থা করছে বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান জিয়া। এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই তার পরিবারের উপর নেমে আসে অমানুসিক নির্যাতন। এমনকি তাদের উপর হামলা-মামলা দিয়েও করা হয় হয়রানী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিএনপি এই নেতা এলাকার সবাইকে নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে জায়গা জমি দখল করে বেচাকেনা করেই শূণ্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন। অনেক নামী-দামি গাড়ির বহর নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে। এলাকার কোন ব্যক্তি উচ্চপদে কর্মস্থলে থাকলে মূলত তাকে টার্গেট করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হযরানী করে মেটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ৮ জুন সকালে খোর্দ্দ শিয়ালকোল গ্রামের মৃত কুদ্দুস খন্দকারের ছেলে ফারুক খন্দকারের জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ শুরু করেন বিএনপি নেতা জিয়া। এ সময় ফারুক খন্দকার কাজে বাঁধা দিতে গেলে তাকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খন্দকার আতিকুর রহমান জিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, রেজাউল করিম হিরা, শফিকুল ইসলাম টিক্কা, রফিকুল ইসলাম, রদরিল খন্দকার, মেহেদী, রিপা বেগম ও মায়া খাতুন এলোপাথারী হামলা করে মহিলাসহ ৫/৬জনকে আহত করে। এই ঘটনায় ফারুক খন্দকার বাদী হয়ে সদর থানায় ৯জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম আযম তালুকদার বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, আমরা সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বারবার মিমাংসার পথ বেছে নিলেও অদৃশ্য কোন কারণে তিনি কারো কথাই শোনেন না। দীর্ঘদিন আওয়ামী ক্ষমতায় থাকার পরেও আমাদের সহকর্মী সহযোদ্ধারা এভাবেই প্রতিনিয়ত মারধরের শিকার হচ্ছে। এমনকি প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানী করছে অথচ আমরা কিছু করতে পারছি না। নাশকতা, সরকারি কাজে বাঁধাসহ একাধিক মামলার আসামী বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শিয়ালকোল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম আযম তালুকদার বাবলু, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন তালুকদার, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান সরকার, সদস্য ইকবাল হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ ছামাদ তালুকদার, আওয়ামীলীগ নেতা বাচ্চু তালুকদার, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম, মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।