গাংনী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান : ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ২২জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন-গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের মৃত মোতালেব হোসেনের শহিদুল ইসলাম (৫০), একই গ্রামের মৃত শামসুদ্দীনের ছেলে আব্দুল লতিফ (৪৭), তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের শিলীনপাড়ার মৃত এরফান মন্ডলের ছেলে ইসরাফিল হোসেন (৬০), হিন্দা গ্রামের মসজিদপাড়ার মৃত সামাদ আলীর ছেলে মোমিন দফাদার (৪৬), জোড়পুকুরিয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত মোরাদ আলীর ছেলে মোজাম্মেল হক (৫৫), রামনগর গ্রামের ছাদেক আলীর ছেলে শাহ আলম (২৫), সাহারবাটী গ্রামের মৃত আইনাল হকের ছেলে আব্দুস সালাম (৪০), ঝোড়াঘাট গ্রামের মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে মোজাম্মেল হক (৫০, বাদিয়াপাড়া গ্রামের মাঠপাড়ার আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে আলহাজ উদ্দীন (২৬), কাজীপুর গ্রামের নিস্মরণপাড়ার গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের আব্দুল হালিম (৪৮), একই গ্রামের ঘরামীপাড়ার মৃত আসকার আলী আজরাফত আলী (৫৮), হাড়াভাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত ছাকিম উদ্দীন ফকিরের ছেলে আহম্মদ আলী (৫৫), একই গ্রামের মন্ডলপাড়া আবুল খায়েরের ছেলে শাহ আলম (৫০), হেমায়েতপুর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে শামীম রেজা পিকু (৩৮), রুয়েরকান্দি গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল গফুর (৪০), চাঁদপুর গ্রামের মৃত ওয়াহেদ বিশ্বাসের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৪২), গজারিয়া হেমায়েতপুর গ্রামের মৃত ফুয়াজ মালিথার ছেলে আলাল উদ্দীন (৩৫), পুরাতন মটমুড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আকবর আলী (৫০), একই গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে হযরত আলী (৪৫), রাইপুর গ্রামের হুরমত আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন (৫০), ভাটপাড়া গ্রামের মৃত আদালত আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫০), একই গ্রামের মৃত রইচ উদ্দীনের ছেলে খোকন হোসেন (৪৫)। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ছুরি, রাম’দা ও লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব নেতাকর্মীদের আটক করে। অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন, গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম)। গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম) সময়ের সমীকরণকে জানান, গাংনী উপজেলার করমদী-কল্যাণপুর নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে বিএনপি-জামায়াতের এসব নেতাকর্মীরা নাশকতা ঘটানোর লক্ষে গোপন বৈঠক মিলিত হয়েছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসময় অভিযান চালালে অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ২২জনকে আটক করা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১৭টি ককটেল, ৩টি রামদা, ৪টি ছুরি ও ৭টি লাঠি উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের নামে মামলা দিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। যার মামলা নং-২০। এদিকে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন এ আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সরকার জন-বিচ্ছিন্ন হয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে পুলিশ দিয়ে এসব নেতাকর্মীদের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আটক করেছে। এ সমস্ত নেতাকর্মিদের মুক্তি দাবি করেন এই নেতা।