নিউজ ডেস্ক:
বাহুবলী ২’ বক্স অফিসে একেবারে ধামাকা তুলে দিয়েছে। সিনেমার বাণিজ্য যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে কোনও রেকর্ডই আর এই ফিল্মের অধরা থাকবে না। ইতিমধ্যেই ১০০০ কোটি টাকার বেশি বাণিজ্য করে ফেলেছে এস এস রাজামৌলি পরিচালিত এই ছবি। অদূর ভবিষ্যতে অন্য কোনও ভারতীয় সিনেমা এই মাইলস্টোন টপকাতে পারবে বলে মনে হয় না।
‘বাহুবলী’ (প্রথম পর্ব) তৈরিতে খরচ হয়েছিল ১৮০ কোটি টাকা, আর ‘বাহুবলী ২’ তৈরিতে মোট ২৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। খরচের চার গুণ অর্থ ইতিমধ্যেই বাজার থেকে তুলে নিয়েছে ‘বাহুবলী ২’। কিন্তু দর্শকের মনে কৌতূহল এটাই যে, সিনেমার বাজেট বাবদ খরচ হওয়া ২৫০ কোটি টাকার মধ্যে কত টাকা কোন অভিনেতার পারিশ্রমিক হিসেবে খরচ হয়েছে। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে অভিনেতা-অভিনেতা এবং পরিচালকের পারিশ্রমিকের হিসেব।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল যে, আর্থিক বিষয়ের ক্ষেত্রে বলিউডের থেকে দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির রীতিনীতি কিছুটা আলাদা। বলিউড একটি ফিল্মের বাজেটের বেশির ভাগটাই সাধারণত নায়ক-নায়িকার পারিশ্রমিক দিতে ব্যয় হয়ে যায়। উপরন্তু ফিল্মের উপার্জনের একটি লভ্যাংশও বড় বড় নায়ক-নায়িকা পেয়ে থাকেন। কিন্তু দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম জগতে অভিনেতা-অভিনেতাদের পারিশ্রমিক অতটা বেশি হয় না। ফিল্মের লভ্যাংশতেও তাদের কোনও দাবি থাকে না।
‘বাহুবলী ২’-এর ক্ষেত্রে স্বল্প পারিশ্রমিকের সেই প্রথা মেনে চলেছেন কিনা প্রভাস বা আনুশকা শেট্টিরা আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সম্পর্কে বিস্তারিত—
১. প্রভাস ওরফে বাহুবলী: ‘বাহুবলী’-র প্রথম পর্ব থেকেই খ্যাতির তুঙ্গে রয়েছেন ইনি। স্বভাবতই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক এঁরই। ‘বাহুবলী ২’-এ অভিনয়ের জন্য প্রভাস পেয়েছেন ২৫ কোটি টাকা।
২. রাণা দাগ্গুবতী ওরফে ভল্লালদেব: সিনেমায় নায়কের সমান গুরুত্ব ভল্লালদেবের। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রাণা দাগ্গুবতী পেয়েছেন ১৫ কোটি টাকা।
৩. আনুশকা শেট্টি ওরফে দেবসেনা: অন্যতম প্রধান নারীচরিত্রে অভিনয়ের জন্য অনুষ্কা পেয়েছেন ৫ কোটি টাকা।
৪. তমন্না ভাটিয়া ওরফে অবন্তিকা: ‘বাহুবলী ২’-তে এর চরিত্র তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি ৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন।
৫. রামাইয়া কৃষ্ণন ওরফে শিবাগামী: মাহিষ্মতী রাজ্যের রানির ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য এই অভিনেত্রী নিয়েছেন ২.৫ কোটি টাকা।
৬. সত্যরাজ ওরফে কাটাপ্পা: এর হাতেই খুন হতে হয়েছিল ‘বাহুবলী’-কে। ফিল্মে বাহুবলীর পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যরাজ পেয়েছেন ২ কোটি টাকা।
৭. এস এস রাজামৌলি (পরিচালক): প্রভাস বা সত্যরাজ-কেউই নয়, ‘বাহুবলী ২’-এ কাজ করার জন্য সর্বাধিক পারিশ্রমিক পেয়েছেন পরিচালক এস এস রাজামৌলি। এমনকী এ ব্যাপারে তিনি খোদ প্রভাসকেও হারিয়ে দিয়েছেন। নায়ক প্রভাস পেয়েছেন ২৫ কোটি টাকা। আর পরিচালক মশাই ‘বাহুবলী ২’ নির্দেশনার জন্য মোট ২৮ কোটি টাকা পেয়েছেন।