নিউজ ডেস্ক:
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শুধু আইনের প্রয়োগ নয়, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, এ জন্য সকলকে একযোগে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি আজ বিকেলে উল্লাপাড়া সরকারী আকবর আলী কলেজ মাঠে “নারীর ক্ষমতায়ন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ” শীর্ষক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
স্পিকার বলেন, দেশের মোট জনসংখার অর্ধেক নারী। এ অর্ধেক জনগোষ্ঠির উন্নয়ন কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি সার্বিক উন্নয়নেরই অংশ। নারীদের স্বাবলম্বী হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহিত পদক্ষেপ নারীর ক্ষমতায়নকে বিস্তৃত করেছে। নারীদের জন্য বর্তমান সরকার ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, বিধবা ভাতা, ডিগ্রি পর্যন্ত নারীদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা নারীর ক্ষমতায়ন করছে।এখন প্রয়োজন তাদের তথ্য প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত করা। আর এ কাজটি করতে পারলে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার স্বপ্নপূরণের পথ সুগম হবে।
তিনি বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির সাথে নিজেদের সংযুক্ত করার কোন বিকল্প নেই। এ জন্য তৃণমূল পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার বিস্তার ঘটাতে হবে। এ লক্ষ্যে উল্লাপাড়ায় ১০টি শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে।
স্পিকার বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল সূচকে বাংলাদেশ এখন শক্ত ভিতের উপর অবস্থান করছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। রেমিটেন্স, রিজার্ভ এর পরিমাণও বাড়ছে। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।
তিনি বলেন, উন্নয়নের এ সুফল পৌঁছে দিতে হবে বাংলার ঘরে ঘরে। তবেই আসবে অর্থনৈতিক মুক্তি। প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
তিনি বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান।
স্পিকার বলেন, মহাজাগরণের পথিকৃত, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের এক আঙুলের ইশারায় দিকহারা জাতি খুঁজে পেয়েছিল নতুন ঠিকানা। সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর আহবানে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন। তিনি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ ধারণ করে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহবান জানান।
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পুন্নুর সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম, সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন মিলন, সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম স্বপ্না, জেলা প্রশাসক কামরুন্নাহার সিদ্দিকী, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মারুফ বিন হাবিব, সমাজকর্মী ও সংগঠক মাহিম ইমাম বক্তব্য রাখেন।