২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পর্দা উঠতে বাকি আর মাত্র দুদিন। পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে সাজসজ্জার শেষ আঁচড়।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদের সম্মানে যুক্ত হচ্ছে নতুনত্ব। তৈরি হচ্ছে আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধ কর্নার। থাকছে অনলাইনে স্টল-প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ কিংবা টিকিট কাটার সুবিধা। তারুণ্যের চেতনাকে প্রাধান্য দিয়ে সাজানো এবারের আসর হবে আকর্ষণীয় ও জাঁকজমকপূর্ণ, এমন প্রত্যাশা আয়োজক সংস্থা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)।
হাতুড়ি-পেরেকের ঠক ঠক শব্দ, কেউ ছুটছেন কাঠ আর বোর্ড নিয়ে, কেউবা দিচ্ছেন রংতুলির আঁচড়, শেষ মুহূর্তের ঝালাই; সব মিলে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞ। দুদিন বাদেই পর্দা উঠবে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার।
গত বছর নির্বাচনের কারণে ২০ দিন পিছয়ে শুরু হওয়ায় প্রস্তুতি কিংবা ব্যবসায় যে ভাটা পড়েছিল, এ বছর তা কাটাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে মেলায় অংশ নিতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে। ভেতরের কাজ শেষে প্যাভিলিয়ন বা স্টল সাজানো হচ্ছে।
দেশি-বিদেশি মিলে স্টল ও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা থাছে ৩২৭টি। বাংলাদেশ ছাড়াও সাতটি ভিন্ন দেশের ১১ প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে এবারের আসরে। ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলায় যুক্ত হচ্ছে বেশকিছু নতুনত্ব। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সম্মানে তৈরি করা হচ্ছে শহীদ মুগ্ধ ও আবু সাঈদ কর্নার এবং তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন।
তবে অপরিবর্তিত থাকছে প্যাভিলিয়ন, স্টল বা রেস্টুরেন্টের স্পেসের ফ্লোর মূল্য বা ভাড়া। টিকেটের জন্য প্রাপ্ত বয়স্কদের গুণতে হবে ৫০ টাকা। ১২ বছরের নিচে হলে টিকেট মূল্য অর্ধেক। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, এ বছর পুরো বরাদ্দ প্রক্রিয়া হয়েছে অনলাইনে। তবে গত বছরের মতো একই ফ্লোর মূল্য বা ভাড়া রাখা হয়েছে এবারও।