সারাদেশে গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ অবস্থায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যা রংপুর বিভাগের চরাঞ্চল এবং কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। গতকাল শুক্রবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, আপার করতোয়া, আপার আত্রাই, পুনর্ভবা, টাঙন, ইছামতি, যমুনা ও যমুনেশ্বরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করে এসব জেলার সংশ্লিষ্ট চরাঞ্চল এবং কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, বিগত কয়েকদিনে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি এবং মৌসুমি লঘুচাপজনিত ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর জেলার নদীসমূহেরও পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, আজ শনিবার থেকে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। আগামী চার–পাঁচ দিন পর গঙ্গা অববাহিকায় পানি বাড়তে পারে।
এদিকে বন্যাজনিত সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে।