বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার গভীর চক্রান্ত”

0
3

জুবাইর হোসেন (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)

বাংলাদেশের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ও বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ কথা বলেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড আব্দুল আলিম এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড মোহাম্মাদ আমীরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন,গত ৫ আগষ্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তাদের দোসররা কিন্তু এখনো থেমে নেই। তারা শুরু থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বাংলাদেশ প্রশাসনের হৃৎপিন্ড সচিবালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুনের চিত্র ও বর্ণনায় প্রমাণিত হয়, সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড নিছক দুর্ঘটনা নয় এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার হীন চক্রান্ত। এর পেছনে ফ্যাসিবাদের দোসরদের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করেন ফোরামের নেত্রীবৃন্দ।

ফোরামের এই দুই নেতা আরও বলেন, পরাজিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এখনো প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের অভ্যন্তরে ঘাপটিমেরে আছে ষড়যন্ত্র করার জন্য এবং এই স্বৈরাচারের দোসরদের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশপ্রেমিক প্রায় সকল রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন উদাসীন। পরাজিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিষয়ে তাদের কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়ার মতো নয়। যার ফলে সুযোগ বুঝে ফ্যাসিবাদের দোসররা সচিবালয়ে আগুন দিয়েছে।

তারা আরও জানান, সচিবালয়ের মতো একটি সুরক্ষিত জায়গায় রাতের বেলা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয়। এটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। কেননা সচিবালয় একটি সুরক্ষিত জায়গা। ফ্যাসিবাদের দোসররা সেই সচিবালয়ে আগুন লাগিয়ে নিজেদের অপকর্মের তথ্য পুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে তাদের অপকর্মের বিষয়ে এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ সাক্ষি আছে। কাগজ পুড়িয়ে আলামত হয়তো নিশ্চিহ্ন করা যাবে কিন্তু হৃদয়ে যে দাগ কেটেছে সেটা মোছা যাবে না কখনই। সুতরাং আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রতি কোনও দয়া প্রদর্শন না করে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।

ফোরামের নেতৃদ্বয় আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে গঠিত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সব সমস্যা মোকাবিলায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটাধিকার এবং জনগণের সার্বিক প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়।