নিউজ ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে টিকে থাকতে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল বাংলাদেশের। এমন বাঁচা মরার ম্যাচে বাগে পেয়েও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এক প্রকার স্বাগতিকদের জয় উপহার দিল বাংলাদেশ! তা না হলে ১০৫ রান থেকে ১৪১ রানে কেন ৬টি উইকেট বিলিয়ে দেবেন মাহমুদুল্লাহ-সাকিব-মোসাদ্দেকরা। শেষ দিকে মাশরাফি (১৭) ও নুরুল ইসলাম সোহানের (২৪) ব্যাটে ১৮৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। হার ৬৮ রানের। এর ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ পকেটে ভরে নিল স্বাগতিকরা।
এদিন কিউদের দেওয়া ২৫২ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩০ রানের ওপেননিং জুটি গড়েন দুই তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। তবে তামিম ফিরে গেলেও ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সহজ জয়ই দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই দুইজন মিলে ৬৫ রানের তোলার ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান সাব্বির (৩৮)। এরপরই ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিংংয়ে। যা ঠেকাতে পারেনি কোনো ব্যাটসম্যানই।
সাব্বিরের বিদায়ের পর গত ম্যাচের মতো মাহমুদউল্লাহ খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১ রান করে ফার্গুসনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান দলের অন্যতম তারকা এই ব্যাটসম্যান। স্থির হতে পারেননি গত ম্যাচের হাফ-সেঞ্চুরিয়ান সাকিব। ২ রান করে ফিরে যান গত ম্যাচের আরেক হাফ-সেঞ্চুরিয়ান মোসাদ্দেক হোসেনও। এখানেই থেকে থাকেনি, একটু পরেই ফিরে যান দারুণ খেলতে থাকা ইমরুলও (৫৯)। এরপর একে একে ফিরে যান অভিষিক্ত অলরাউন্ডার তানভীর হায়দার, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তাসকিন আহমেদ ও সোহান।
এর আগে, নেইল ব্রুমের অপরাজিত ১০৯ রানের ওপর ভর করে ২৫১ রান করে নিউজিল্যান্ড। এছাড়া গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ল্যাথাম ২২ ও লুক রঞ্চি ৩৫ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে মাশরাফি ৪৯ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট দখলে নেন তাসকিন ও সাকিব।