তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে সংখ্যালঘুদের মাধ্যমে একটি ভুয়া সংকট তৈরি করা। রঞ্জিত সরকার এবং স্বদেশ কুমার সাহা RAAW -এর স্বার্থে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে একত্রিত করে ৮ দফা দাবি জানাতে বাধ্য করেন। এদের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। স্বদেশ কুমার সাহা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থানরত একজন ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্ট (RAAW) হিসেবে কাজ করছেন, জানা যায় তিনি নিজের স্বার্থে কৃষি সচিবের একান্ত সচিব নাহিদা বারিককে জোরপূর্বক বিয়ে করেন।
নাহিদা বারিক দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং এ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (RAAW) কাছে পাচার করেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জনশ্রুত আছে যে, বাংলাদেশের সকল নির্বাচনে বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনে এমপি মনোনয়নে ভারতীয় হস্তক্ষেপে সিদ্ধ হস্ত এবং সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারি গ্রুপের সাথে এপার ওপার নিবিড় সম্পর্ক। স্বদেশ কুমার সাহা অনেক হত্যাকাণ্ডের জন্যও বিশেষভাবে দায়ী। প্রাপ্ত গোপন তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বদেশ কুমার সাহা উল্লেখযোগ্য অর্থ বিনিয়োগ করেন। এই অর্থ তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (RAAW) থেকে এনে তার স্ত্রী নাহিদা বারিকের (কৃষি সচিবের একান্ত সচিব) গাড়ির মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে পাচার করেন।
স্বদেশ কুমার সাহার তত্ত্বাবধানে প্রায় কয়েকশো এজেন্ট ঢাকার ভিতরে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এ চক্রান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের বাইরে সকলের কাছে বাংলদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর অনিরাপত্তা বা হুমকির মিথ্যা তথ্য রটানো। হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা করে এবং তাদের হত্যা করে বাংলাদেশি মুসলিম ও সদ্য গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর দোষারোপ করার পরিকল্পনা রয়েছে । এ ছাড়া ঢাকায় প্রায় ২ লাখ হিন্দু জনগোষ্ঠীকে ব্যবহার করে ‘গণভবন’ ঘেরাও করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যদি এই সময়ে নিরাপত্তার স্বার্থে আর্মি গুলি চালায় তবে ভারতের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করা সহজতর হবে।