নিউজ ডেস্ক:
শোকের দিন আজ বাংলাদেশে। অপার বেদনার ১৪ ডিসেম্বর। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। একাত্তরের এই দিনে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনা আর তাদের দোসর আল বদর, আল শামস বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র এক দিন আগে পরিকল্পিতভাবে চালানো এই হত্যাযজ্ঞের উদ্দেশ্য ছিল, স্বাধীন হলেও দেশটি যেন মাথা তুলে দাড়াতে না পারে। বিজয়ের ৪৬ বছরে এ বারের বুদ্ধিজীবী দিবসে সারা দেশে হাজারো মানুষের মৌন শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় সেজে উঠেছে শহিদের স্মৃতি বিজড়িত বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধগুলো।
সকালে ঢাকার মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৭টা নাগাদ তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল শহিদদের স্মরণে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। শহিদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয়। ছ’টার কিছুটা আগে হাসিনা শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসেন। পৌঁছেই তিনি যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান।
সে দিনের নারকীয় হত্যার পর পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। |
পরে রাষ্ট্রপতিও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তান ও যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় শেখ হাসিনা মন্ত্রী সভার সদস্য ও আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ছেড়ে যাওয়ার পর শ্রদ্ধা নিবেদন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
অপেক্ষমান হাজারো মানুষ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।