জীবননগরে ৫ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীর বাল্য বিয়ে : পুলিশের অভিযান
নিউজ ডেস্ক:: জীবননগরে ৫ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে থানা পুলিশ। এসময় বর-কনেসহ উভয় পরিবারের মোট ৭জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জীবননগর থানার (ওসি) মাহমুদুর রহমান বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে এসআই জাহিদ, এএসআই সাজ্জাদ, এএসআই আরিফ, এএসআই মিলন ও এএসআই মাসুদ রানাসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জীবননগর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দত্তনগর রোডে মৃত বজলু কাজীর ছেলে হুসাইন কাজীর বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় বাল্য বিবাহ দেওয়ার সময় হাতেনাতে হুসাইন কাজীর সহযোগী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড শাপলাকলিপাড়ার মৃত সোহরাব উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম, মহেশপুর উপজেলার বাগাডাঙ্গা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে বর রফিকুল ইসলাম (১৯), জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে কনে হাসাদহ আনন্দ স্কুলের ৫ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী রোমেলা খাতুন (১১), মেয়ের বোনাই মোতালেবের ছেলে হাবিবুর রহমান, ছেলের বোনাই মহেশপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের নিহার উদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেন এবং ঘটক মহেশপুর উপজেলার বাগাডাঙ্গা গ্রামের তোয়াজ উদ্দিনের ছেলে জসিমকে আটক করে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দত্তনগর রোডে হুসাইন কাজীর বাড়িতে একটি বাল্য বিবাহ দেওয়া হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হুসাইন কাজীর বাড়িতে গেলে সেখানে একটি ৫ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিয়ে দেয়া হচ্ছিলো। এ সময় কাজীর সহযোগী এবং বর ও কনে পক্ষের সকল সদস্যদের আটক করা হয়। এ সময় হুসাইন কাজী ও তার সহযোগীরা ছাঁদ টোপকিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় হুসাইন কাজীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি টানা গাড়ি উদ্ধার করা হয়।