নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান ইসিকে মেনে নিয়ে বিএনপি সংলাপে অংশ নিয়েছে। সংলাপ শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় দলটির নেতাদের খোশমেজাজে দেখা গেছে
যদিও বিএনপি কিছু দিন আগ পর্যন্ত ইসি ও সিইসির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তবে আমরা চাই বিএনপির এই খোশমেজাজ নির্বাচন পর্যন্ত থাকুক এবং তারা যেন নির্বাচনে অংশ নেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গতকাল সোমবার দুপুরে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসির সংলাপে বিএনপির করা দাবিগুলোর সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বলেছে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে যা সংবিধান বিরোধী। গতবারও নির্বাচন সংসদ বহাল থেকে হয়েছিল এবারও তাই হবে। বিএনপি চায় সেনাবাহিনীকে দিয়ে পুলিশ ও আনসারের কাজ করাতে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব, শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের কাজের কারণে সারাবিশ্বে প্রশংসিত। আর বিএনপি চায় নির্বাচনের সময় পুলিশ ও আনসার যে কাজ করে তা সেনাবাহিনীকে দিয়ে করাতে। আমি তাদের বলব এসব কথা বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করবেন না
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের সংলাপ চায়। কিন্তু নির্বাচন তো সরকারের অধীনে হবে না, হবে ইসির অধীনে। নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার একজন ওসি বা টিএনওকে বদলি করার ক্ষমতাও রাখে না। নির্বাচনের সময় সরকার শুধু তার রুটিন ওয়ার্ক করে। সরকারের সঙ্গে নয় সংলাপ প্রয়োজন ইসির সঙ্গে।
এসময় রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসির ভূমিকায় আমি হতাশ। যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনীকে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে সেখানে ওআইসি চুপ। রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ওপর অবরোধ আরোপ করার বিষয়টিকে আমি সমর্থন করি।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিষয়কমন্ত্রী একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেছেন- প্রতিদিন তারা ১০০ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেবেন। আমি হিসাব করে দেখেছি, যে পরিমাণ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলেদেশে আছে এভাবে তাদের নিতে গেলে প্রায় ৩০ বছর লাগবে। আমি আন্তর্জাতিক বিশ্বে দাবি জানাই এসব উদ্ভট চিন্তা বাদ দিয়ে মিয়ানমারকে বলুন দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা যেন রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়।
সারা পৃথিবী রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যু নিয়ে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করলেও একটি দল ও তার নেত্রী প্রশংসা করছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যু নিয়ে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করছে সারাবিশ্ব। কিন্তু একটি দল (বিএনপি) ও তার নেত্রী প্রশংসা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এটিই তাদের রাজনৈতিক হীনমন্যতার পরিচয়।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. বলরাম পোদ্দার, ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদ প্রমুখ।