সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে স্পর্ধিত তারুণ্যের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সব সীমাবদ্ধতা জয় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে যুগান্তরের ১৯তম বর্ষে পদার্পণ উদযাপিত হয়েছে।
এদিন যমুনা ফিউচার পার্কে জারা-নেহা কনভেনশন সেন্টারে কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। এর পর সারা দিন চলে শুভেচ্ছাবিনিময়-পর্ব।
দুপুর ১২টায় কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় যুগান্তরের জন্মদিন উদযাপনের অনুষ্ঠানমালা। কেক কাটেন যুগান্তরের স্বত্বাধিকারী, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, যুগান্তর প্রকাশক সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি ও যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম। এ সময় তারা পরস্পরের মুখে কেক তুলে দেন। উপস্থিত রাজনীতিক, সাংবাদিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং যুগান্তর পরিবারের সদস্যরা করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান।
ভাষার মাসের প্রথম দিন দেশের অন্যতম শীর্ষ ও জনপ্রিয় দৈনিক যুগান্তরের জন্মদিন। এ উপলক্ষে মাঘের মিষ্টি মধ্যদুপুরে আয়োজন করা হয় সুধী সমাবেশ, গান ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
প্রতি বছরের মতো এবারও যুগান্তরের জন্মদিনের আনন্দ আয়োজনে দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, বর্তমান মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, তারকা রাজনীতিবিদ, ঢাকার মেয়র, বর্তমান ও সাবেক সচিব, বিশিষ্ট ও প্রবীণ নাগরিক, অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, কলামিস্ট, যুব ও ছাত্রনেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অসংখ্য মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয় যুগান্তর পরিবার। কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, ক্রীড়াবিদ, চলচ্চিত্র ও নাট্যব্যক্তিত্বের পদচারণায়ও মুখর ছিল অনুষ্ঠানস্থল। যুগান্তরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ও কূটনীতিকরা। শুভেচ্ছা জানাতে আরও এসেছিলেন সহযোগী জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক, টিভি চ্যানেলের বার্তাপ্রধান, সাংবাদিক নেতা ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা।
সুধীজনদের শুভ কামনা ও প্রত্যাশায় সমৃদ্ধ যুগান্তর পরিবারও মা, মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে সাহসী পথচলা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকেই যুগান্তর ভবনে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছাবিনিময়ের পাশাপাশি উৎসবে আগতদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে বার্তা বিভাগসহ দৈনিকটির অন্য সব বিভাগ।
স্পর্ধায় দুর্বিনীত দুঃসাহসের বয়স উনিশে পা দেয়ার দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে এদিন যমুনা ফিউচার পার্কে দেশের অন্যতম শীর্ষ ও জনপ্রিয় দৈনিক যুগান্তরের শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিতি প্রাণবন্ত করে তোলে এ আয়োজন।
যুগান্তরের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসেনবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। শুভেচ্ছাবিনিময় শেষে তিনি বলেন, যুগান্তর পত্রিকা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা মনে করি যুগান্তর শতভাগ সফল হয়েছে।
মঈন খান বলেন, সামনে নির্বাচন, আমরা আশা করি যুগান্তর পূর্বের মতোই গণতন্ত্র, দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থেই বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করবে।
যুগান্তরের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে আসা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সত্যের সন্ধানে নির্ভীক এই শপথকে সামনে রেখে যুগান্তরের পথচলা শুরু হয়েছে। যুগান্তরের কাছে আমাদের চাওয়া গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে তাদের কলম সোচ্চার থাকবে। অসুন্দরের বিরুদ্ধে সব সময় সজাগ থাকবে যুগান্তর।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানাতে আসা জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা যুগান্তরকে বলেন, যুগান্তর পত্রিকার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- ভেতরে ও বাইরের স্বচ্ছতা। যুগান্তর আমার খুব প্রিয় একটি পত্রিকা, আমি যুগান্তরের নিয়মিত পাঠক।
বিশিষ্টএই সংগীতশিল্পী বলেন, যুগান্তর পত্রিকা পাঠক নন্দিত হয়েছে। সত্য ও ন্যায়কে বিবেচনায় রেখে যুগান্তর বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করেছে আসছে। ‘পাঠকের অন্তরজুড়ে’- এ স্লোগানে দীর্ঘ সময়ের পথপরিক্রমায় দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নানা খবরে যুগান্তর তার পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছে। অনেক শুভ কামনা ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে। শুভ হোক আগামীর পথচলা।
যুগান্তরকে শুভেচ্ছা জানাতে আনন্দ আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেক, সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর, ফ্যাশন ডিজাইনার আসাদ রহমান, সচিব আব্দুল মালেক, এডিসি আহম্মেদ হুমায়ুন, নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা জুয়েল আহম্মেদ, বিশিষ্ট শিল্পপতি সোহারাব আহমেদ, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সমসের আলী খান ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব রকিবুল হাসানসহ আরও অনেকে।