নিউজ ডেস্ক:
বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত হয়েছে। বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে শেকৃবির এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
গতকাল শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল অনুষদ ভবনের সামনে থেকে ডিনের নেতৃত্বে একটি র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে আবার শেখ কামাল অনুষদ ভবনের নিচে এসে শেষ হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাঘ বাঁচাতে নানা উদ্যোগ নিলেও সুন্দরবনে বাঘের মৃত্যু আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় ১৯৭৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিলো ৩৫০। ১৯৮৪ তে ৪৩০ থেকে ৪৫০, ৯২ তে ৩৫৯ এবং ২০০৪ সালে বনবিভাগের জরিপে পাওয়া যায় ৪৪০টি বাঘ। সর্বশেষ, ক্যামেরা ট্র্যাপিং, পাগমার্ক, রেডিও টেলিমেট্রি এবং পদচিহ্ন পদ্ধতির জরিপে সর্বশেষ এর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১০৬। এছাড়া সারা বিশ্বে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ৩ হাজারেরও কম।
তারা বলেন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সুন্দরবন আমাদের ঢাল হিসেবে কাজ করে। কিন্তু বাঘ কমে যাওয়ায় সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বন কমে যাচ্ছে। তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে জাতীয় পশু বাঘ সংরক্ষণ করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, ২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ টাইগার সামিটে বাঘের প্রাকৃতিক বাসস্থান রক্ষা ও বাঘ রক্ষায় জনসচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই বছর থেকে বাঘ আছে বিশ্বের এমন ১৩টি দেশে একযোগে দিবসটি পালন করা হয়।