নিউজ ডেস্ক:
বন্যার কারণে দেশে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটি মোকাবিলায় সরকার সক্ষম জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আকস্মিক বন্যার কারণে অনেক অসুবিধা হয়। বর্তমানে দেশে চাল আমদানিটা অনেক বেশি।
চালের দামও সারা বিশ্বে অনেক বেড়ে গেছে। তারপরও আমাদের এই চাল আনতেই হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষকে সুখে রাখতে আমাদের চাল আমদানি করতে হবে। বাংলাদেশ এখন অভাবে নেই। সাময়িক একটা অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। তাতে অতিরিক্ত পয়সা লাগতে পারে। সেটা খরচ করার সক্ষমতা আমাদের আছে।
বুধবার দুপুরে হোটেল পূর্বাণীতে ‘সোনালী ব্যাংক ও প্রাণ ডেইরি হাব গাভি পালন ঋণ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন’ লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক ও প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রায় আট বছর আমরা কনসেস্টেন্ট ইকনোমির মধ্যে আছি। এর প্রধান বিষয় হচ্ছে আমাদের প্রত্যেক বছরই প্রবৃদ্ধি। এই প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে তারও একটু বেশি আশা করছি আমরা। একটা দেশের চরিত্র পরিবর্তন ও একটা দেশের মানুষের সুখ হাসিল করার জন্যে যা সব থেকে প্রয়োজন সেটা হচ্ছে কনসেস্টেন্ট গ্রোথ। বিগত আট বছর ধরে আমরা আমাদের কনসেস্টেন্ট গ্রোথ ধরে রেখেছি। আশা আগামী দুই বছরও এই গ্রোথ ধরে রাখতে পারব।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্য শেষে তার উপস্থিতিতে উন্নত জাতের গাভী পালন ও দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে প্রাণ ডেইরির চুক্তিবদ্ধ খামারিদের সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ দিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী এবং সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম প্রতিষ্ঠান দুটির পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। এসময় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন, প্রাণ এর চুক্তিবদ্ধ খামারিদের গাভী ক্রয়, শেড স্থাপন, মিল্কিং মেশিন, চপার মেশিন, দুধ বহনের অ্যালুমিনিয়াম ক্যানসহ খামার ব্যবস্থাপনার আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ে এ ঋণ প্রদান করা হবে।
চুক্তি স্মাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনাপর্ষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল মকবুল, প্রাণ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধাসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।