নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে এ বিয়ের আয়োজনের অপরাধে কনের পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিমা শারমিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফাসহ পুলিশ সদস্যরা। আলমডাঙ্গায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে এ বিয়ের আয়োজনের অপরাধে কনের পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিমা শারমিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফাসহ পুলিশ সদস্যরা। জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী ইউনিয়নের ডামোশ গ্রামের আরমান হোসেনের মেয়ে আলেয়া খাতুন (১৫) এরশাদপুর একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত বছর জেএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয় সে। স্কুলগামী ছেলেমেয়েদের দ্বারা আলমডাঙ্গার ডামোশ গ্রামে বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটি গঠন করা হলে তাকে ওই কমিটির সদস্য করা হয়। এ বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটির সদস্য স্কুলছাত্রী আলেয়া খাতুনের সঙ্গে রংপুর গ্রামের রনির আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিয়ের আয়োজন করেন তার বাবা আরমান হোসেন। স্থানীয় সাংবাদিকেরা এ বাল্যবিবাহ আয়োজনের খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আলী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিমা শারমিন ও আলমডাঙ্গা থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমানকে অবহিত করেন। এরপর থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফাসহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিমা শারমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই বাল্যবিবাহ পণ্ড করে দেন এবং এ বাল্যবিবাহ আয়োজনের অপরাধে স্কুলছাত্রীর বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।বাল্যবিবাহের এ ঘটনায় এরশাদপুর একাডেমির প্রধান শিক্ষক সামিম হোসেন বলেন, ‘আমরা সরাসরি কারও বিয়ে ভাঙতে পারি না। আমরা সব শিক্ষকই বাল্যবিবাহ না দেওয়ার পক্ষে।’ এই ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বিবাহ পণ্ড করে দিয়েছে। তবে কেউ বলছে, ৩ মাস পূর্বে ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। তবে আমরা বিয়ের কোনো কাগজপত্র পাইনি।’ আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিমা শারমিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করা হয়েছে। উভয় পক্ষের অভিভাবকেরা কনের বিয়ের বয়স ১৮ হওয়ার আগে বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা প্রদান করেছেন। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ সনের ৬-এর ১ ধারায় কনের বাবাকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।