নিউজ ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী এবং একাত্তরের ঘাতক আশরাফুজ্জামান খান ও এমএ জব্বারকে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তরের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার কুইন্সের জ্যামাইকার ইকনা মসজিদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পালিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে, একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যার নায়ক আলবদর আশরাফুজ্জামান এবং রাজাকার জব্বারকেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে রয়েছেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হোস্ট সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার।
মানববন্ধনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘ঘাতকদের শাস্তি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের এই ঢিলেমী আমরা বরদাশত করতে পারি না। অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর কারার দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত চিলেন, কন্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও শহীদ সাংবাদিক সিরাজ্জুদ্দিন হোসেনের ছেলে ফাহিম রেজা নূর, বাংলাদেশি-আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক লীগের সভাপতি খোরশেদ খন্দকার, শহীদ পরিবারের সদস্য ওবায়দুল্লাহ মামুন, বাংলাদেশ ‘ল’ সোসাইটির যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি অ্যাড. মোর্শেদা জামান, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহ্বায়ক তারেকুল হায়দার চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গমাতা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, গণজাগরণ মঞ্চের নেতা মোজাহিদ আনসারী ও গোপাল সান্যাল, প্রগেসিভ ফোরামের সভাপতি খোরশেদুল আলম, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য মাহমুদ হাসান মানিক, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সর্দার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুদ হোসেন সিরাজী, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল বারী, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া, প্রচার সম্পাদক শুভ রায়, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক এ টি এম মাসুদ প্রমুখ।
সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম যুক্তরাষ্ট্র শাখার আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, যুুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, গণজাগরণমঞ্চ, বাংলাদেশি-আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক লীগ, বঙ্গমাতা পরিষদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, প্রগেসিভ ফোরাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ ‘ল’ সোসাইটি, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ।