নিউজ ডেস্ক:
বগুড়ায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে নিরাপত্তার জন্য সরকারি সেফহোমে এবং তার নির্যাতিত মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আনা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাদের রাজশাহীতে আনা হয়। এর আগে গতকাল সোমবার সকালে মা-মেয়েকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর দুপুরের দিকে পুলিশ তাদের বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এবং শিশু আদালতের বিচারক ইমদাদুল হকের এজলাসে হাজির করে। এরপর নির্যাতিত মেয়েটি ও তার মায়ের নিরাপত্তার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত চায় পুলিশ। বিকেলে এক আদেশে আদালত নির্যাতিত মেয়েটিকে রাজশাহী বিভাগীয় সরকারি সেফহোমে এবং মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, মা-মেয়ে বাসায় ফিরবেন, নাকি কোথায় যাবেন সেই সিদ্ধান্ত সোমবার দুপুরের দিকে শিশু আদালতের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মা-মেয়েকে হাজির করা হয়। আদালতের আদেশের পর বিকেলেই মেয়েকে রাজশাহী সেফহোমে এবং মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বগুড়া সদর থানার এসআই আসলাম সরকার বলেন, তার তত্ত্বাবধানে আজ মঙ্গলবার সকালে মা-মেয়েকে বগুড়া থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে আনার জন্য তারা রওনা হন। পরে বেলা পৌনে ১২টার পুলিশ মা-মেয়েকে নিয়ে রাজশাহীতে পৌঁছেন। এরপর নির্যাতিত মাকে রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানা চত্তরে অবস্থিত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে এবং ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার তার মেয়েকে পবার নওহাটায় সেফ হোমের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেলে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের নেতা তুফান সরকার। পরে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা সরকার এবং তার বড় বোন নারী কাউন্সিলর এবং তুফানের ক্যাডাররা ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ও তার মায়ের ওপর নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ২৮ জুলাই রাতে মামলা করেন।