নিউজ ডেস্ক:
বিনা পয়সায় ওয়াই-ফাই পেলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান তো? প্রাণ খুলে ব্যবহার করতে শুরু করেন সেই ওয়াই-ফাই। ! ভেবেও দেখেন না, কী বিপদ হতে পারে এই ধরণের ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে।
জেনে নিন, সতর্ক থাকুন-
১. ফ্রি ওয়াই-ফাই সাধারণত নিরাপদ হয় না। হ্যাকাররা চাইলে এই নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদানের সময় আপনার তথ্য চুরি করে নিতে পারে। ধরুন, কোনো পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার সময় একই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে, এমন তৃতীয় কোনও ব্যবহারকারীর কাছে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চলে যেতে পারে।
২. ফোনের অপারেটিং সিস্টেম সবসময় আপডেটেড রাখুন। আপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম শুধু আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা আইফোনের নতুন ফিচারের জন্যই নয়। এটিতে স্মার্টফোন থেকে তথ্য চুরি হওয়া ঠেকাতে বিশেষ সিকিউরিটি দেওয়া থাকে। তাই যখনই ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট আসবে, তা ইনস্টল করে নেবেন।
৩. যাঁদের প্রায় সময় পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে, তাঁদের স্মার্টফোনে অবশ্যই উপযুক্ত সিকিউরিটি সফটওয়্যার ইনস্টল করবেন। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ইউজারদের ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৪. ওপেন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে ঢোকার পর যদি স্পিড খুব স্লো হয়, তবে সেখানে সমস্যা থাকতে পারে। অনেক সময় সাইন-ইন পেজে গিয়ে স্লো ওয়াই-ফাই কানেকশানের জন্য লগ ইন আটকে যেতে পারে। অনেক সময় রাউটারে সরাসরি সংযোগের পরিবর্তে অন্য কোনো ডিভাইস ঘুরে রাউটারে যাওয়ার ঘটনা হতে পারে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে সব ধরনের সাইবার অপরাধীদের সুযোগ তৈরি হয়।
৫. ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ে অনলাইন শপিং বা ব্যাংকিং করবেন না। পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা কিংবা ব্যাংকিং লেনদেন নিরাপদ নয়। মোবাইল ইন্টারনেট এক্ষেত্রে নিরাপদ।
৬. দরকার না হলে ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখুন। দরকারি কাজ শেষ হওয়ার পরেই বন্ধ করে দিন ওপেন ওয়াই-ফাই পরিষেবা। যেসব পেজে লগ ইন করেছেন, তা সাইন আউট করুন। দ্রুত ওয়াই-ফাই বন্ধ করলে স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার আসবে না।
৭. ভিপিএন ব্যবহার করুন। ভিপিএন ছাড়া পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করবেন না। এতে অনেক ঝুঁকি কমে। অনেকরকম ভিপিএন মোবাইল অ্যাপস পাবেন।
ফ্রি ওয়াই ফাই বা হটস্পট হল হ্যাকারদের স্বর্গরাজ্য। ওয়াই ফাই জোন অর্থাৎ একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে নেটওয়ার্ক অনেক বেশি শেয়ার হতে থাকে। এর জেরে বেশ কয়েকটি চ্যানেল তৈরি হয়ে থাকে ৷ পাবলিক ওয়াই ফাই ব্যবহার করলে আপনার সমস্ত তথ্য দেখতে পারে তৃতীয় ব্যক্তি ৷ ফলে আপনার তথ্য হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে৷ তাই এবার থেকে অনলাইনে ব্যক্তিগত কাজের ক্ষেত্রে মোবাইল ডেটা ব্যবহার করারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।