বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির চব্বিশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধা। প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে শিবির আন্দোলনের সঙ্গে ছিল। শিবিরের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে কার্যকর। বুদ্ধি-পরামর্শ ও এক টেবিলে আমরা কাজ করেছি।’ ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে শুভেচ্ছা বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এই সমন্বয়ক।
সারজিস আলম বলেন, ‘স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমরা একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। শিবিরকে ট্যাগ লাগানোর দিন শেষ হয়ে গেছে।’
ছাত্রশিবিরের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘শিবিরকে সব মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। ফ্যাসিবাদ দেশ ও জনগণের দুশমন। এই ফ্যাসিবাদ যাতে আর কোনোদিন না ফিরে আসতে পারে, সে চেষ্টা করতে হবে।’
এর আগে সকাল ৮টায় রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয় শিবিরের সম্মেলন। দীর্ঘ ১৩ বছর পর প্রকাশ্যে এমন সম্মেলন করছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সম্মেলনে সারা দেশের ছাত্রশিবিরের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছেন। আজ তারা সবচেয়ে সুশৃঙ্খল ছাত্র সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচন করবেন।