গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।
স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দুটি ধাপে কর্মসূচি পরিচালিত হবে।
প্রথম ধাপে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সমাবেশ। এরপর দ্বিতীয় ধাপে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে সমাবেশ এবং জনসম্পৃক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে দলটি।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম কর্মসূচি শুরু হতে পারে। দলের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, রমজানের আগেই এই কর্মসূচি শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিএনপি দাবি করছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত। তারা বলছে, ন্যূনতম সংস্কারের মাধ্যমে এই সময়ের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। তবে সরকার থেকে ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলা হলেও বিএনপি এত দীর্ঘ সময় দিতে রাজি নয়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র বিষয়ে বিএনপি একটি সংশোধিত খসড়া তৈরি করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির খসড়া ঘোষণাপত্রকে পুরোপুরি অগ্রাহ্য না করে বাস্তবতার নিরিখে তা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতি মহান মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তিতে প্রণীত। তাই সংবিধান বাতিল নয়, বরং প্রয়োজনে সংশোধন করা যেতে পারে। দলটি মনে করে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গত ১৭ বছরে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সংগ্রামকেও ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।