নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটকসহ একজনকে পলাতক দেখিয়ে মামলা দায়ের করেছে। এ সময় আটককৃত আসামীদের কাছ থেকে ৬৩ বোতল ফেনসিডিল, ৩৭পিস ইয়াবাসহ ৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে অভিযানকারী দল। পরে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের পূর্বক সদর থানা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের মহিলা কলেজপাড়া ও আলুকদিয়া কাঁচা বাজার এলাকাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হল- সুমন মিয়া (২৫) ও সাইফুদ্দিন ওরফে বাবুল (৩৯)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা অফিস জানতে পারে, মহিলা কলেজ পাড়ার জনৈক খলিল মাস্টারের ভাড়াটিয়া মাদকদ্রব্যসহ বাড়িতে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে মাদকদ্রব্য অফিসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বড়ির ভাড়াটিয়া অপু মিয়া পালিয়ে গেলেও আটক করা হয় জীবননগর উপজেলার পেয়ারাতলা এলাকার জলিলপাড়ার মৃত জাহাব আলী মোল্লার ছেলে সুমন মিয়াকে। এ সময় সুমন মিয়ার কাছ থেকে ২৭ পিস ইয়াবা ও ৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারসহ অপু মিয়ার ঘরের চৌকির নীচ থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় রাখা ৬৩ বোতল ফেনসিডিলর উদ্ধার করা হয়। পরে পলাতক অপু মিয়া ও সুমনের নামে মাদক মামলা দায়ের করা হয়।
অপরদিকে, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই অবু বক্কর সিদ্দীকসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা শহরতলী আলুকদিয়া কাচা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে একই এলাকার পুরাতন বাজার পাড়ার মৃত আফতাব উদ্দীনের ছেলে সাইফুদ্দিন ওরফে বাবুলকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
গ্রেফতারকৃত এ সকল আসামীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের পূর্বক সদর থান হেফাজতে সোপর্দ করা হয়। আজ তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হতে পারে বলে জানায় থানা পুলিশ।