সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৩০ মিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭৫ মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগ জানিয়েছে রোববার দুপুরের পর থেকেই পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। পাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাংখা পয়েন্টে সোমবার ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা ছিল ২০ দশমিক ৪৮ মিটার। বিকেল ৩টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৫০ মিটারে। পাংখায় বিপৎসীমা ২২ দশমিক ০৫ মিটার।
পাংখার ভাটিতে থাকা রাজশাহী নগরীর শহর রক্ষাবাঁধ সংলগ্ন বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানির বিপৎসীমা নির্ধারণ করা রয়েছে ১৮ দশমিক ০৫ মিটার। সোমবার ভোর ৬টায় এখানে পানির উচ্চতা পাওয়া যায় ১৬ দশমিক ২৭ মিটার। সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা আরও এক সেন্টিমিটার বেশি পাওয়া যায়। এরপর বিকেল ৩টায় ও সন্ধ্যা ৬টায় পদ্মার এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা পাওয়া যায় ১৬ দশমিক ৩০ মিটার।
অপরদিকে বড়কুঠির আরও ভাটিতে থাকা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় পদ্মার পানির বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ৯২ মিটার। সোমবার ভোর ৬টায় এখানে পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ০৫ মিটার এবং সকাল ৯টা ও বিকেল ৩টায় পানির উচ্চতা পাওয়া যায় ১৫ দশমিক ০৬ মিটার। উজানে থাকা ফারাক্কার গেট খোলায় ভাটিতে থাকা পদ্মার পানি বাড়ার এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলেই আপাতত আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, সাধারণত ১০ দিনের জন্য নদ-নদীর পানি বাড়ার পূর্বাভাস দেন তারা। সেই হিসাবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা নেই। তবে আগামী কয়েকদিন উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে তার সর্বশেষ দেখে পদ্মার পানির প্রকৃত অবস্থা ও পরবর্তী পরিস্থিতি অনুমান করা সম্ভব হবে।