নিউজ ডেস্ক:
সুস্থ থাকতে, শরীর মেদহীন রাখতে ফল খাওয়ার গুরুত্বের কথা ডায়েটিশিয়ানরা সব সময়ই বলে এসেছেন। যারা ফল খেতে ভালবাসেন না তারা অ্যাসিডিটির দোহাই দিয়ে ফল খাওয়া এড়িয়ে চলেন। কেন ফল খেলে অ্যাসিড হয়? এর পিছনে রয়েছে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক কারণ। ফল খাওয়ার বিজ্ঞান মেনে চললে এই সমস্যা হবে না। জেনে নিন ফল খাওয়ার বিজ্ঞান।
মেলন
মেলন জাতীয় ফলের সঙ্গে আর কোন ফলই খাওয়া উচিত নয়। মেলন জাতীয় ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকার জন্য তা তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। যে কারণে অন্য কোন ফল তরমুজ, খরমুজ, ফুটি জাতীয় ফলের সঙ্গে খেলে তা হজম হয় না।
অ্যাসিডিক ও মিষ্টি ফল
স্ট্রবেরি, কমলালেবু, বেদানা, পিচ বা আপেলের মতো অ্যাসিডিক ফলের সঙ্গে কলা, কিসমিস জাতীয় মিষ্টি ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন। দু’ধরনের ফলে পিএইচ মাত্রা আলাদা হওয়ার কারণে হজমে সমস্যা হয়। অ্যাসিডিটি, বমি পাওয়া, মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
ফল ও সবজি
ফল ও সবজি হজম হওয়ার ধরন আলাদা। ফল অনেক তাড়াতাড়ি হজম হয়। বেশির ভাগ ফল পাকস্থলীতে পৌঁছনো মাত্রই হজম হয়ে যায়। আবার ফলের মধ্যে শর্করার মাত্রা বেশি থাকার কারণে তা সব্জির পরিপাকেও বাধা দেয়। ফলে বুক জ্বালা, অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। যে কারণে কমলালেবু ও গাজর এক সঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
স্টার্চ ও প্রোটিন
স্টার্চ জাতীয় ফল খুবই কম রয়েছে। যেমন কলা। কিন্তু কর্ন, আলু, বাদাম স্টার্চ জাতীয় সব্জি। প্রোটিন জাতীয় ফল ও সবজির সঙ্গে স্টার্চ জাতীয় ফল ও সব্জি মেশাবেন না। কিসমিস, পেয়ারা, পালং শাক, ব্রকোলি প্রোটিন জাতীয় ফল, সব্জি। কারণ প্রোটিন হজম করার জন্য শরীরের অ্যাসিডিক বেস প্রয়োজন, আবার স্টার্চ হজম করার জন্য ক্ষারক বেস প্রয়োজন। তাই দুই জাতীয় খাবার এক সঙ্গে খেলে হজমে সমস্যা হয়।
এক সঙ্গে কখনও ৪-৬টার বেশি ফল খাবেন না
যদি খুব বেশি প্রোটিন খেয়ে ফেলেন তা হলে পরদিন সকালে পেঁপে খান। এর মধ্যে থাকা প্যাপেইন প্রোটিন হজমে সাহায্য করবে।
যদি বেশি নুন খেয়ে ফেলেন তা হলে পরদিন সকালে পানিযুক্ত ফল খান। যা নুন শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করবে।
যদি খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট খেয়ে শরীর ভারী লাগে, তা হলে পরদিন সকালে আপেল খান। কারণ আপেলের মধ্যে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট হজম করতে বেশি এনার্জি প্রয়োজন। যা পাস্তা বা ম্যাগির মতো ভারী কার্বোহাইড্রেট থেকে হওয়া ব্লটিং কমাতে সাহায্য করবে।