ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর (৫১) ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় একটি ধারালো অস্ত্র রামদা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৮ টার দিকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান। এর আগে সন্ধ্যায় শহরের গোয়ালচামটস্থ মডেল মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন, শহরের রঘুনন্দনপুরের সাত্তার শেখে ছেলে মোঃ রিপন শেখ ও রথখোলা এলাকার রাশেদ হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার। এরমধ্যে রিপন শেখ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও জেলা মটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম মো. নাছিরের সহযোগী বলে জানাগেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, কামরুল ইাসলাম সিদ্দিকী মডেল মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হয়ে মসজিদের গেইটে পৌছানো মাত্র ৪ থেকে ৫ জন হামলার চেষ্টা চালায়। এ সময় এক হামলাকারী মাফলার দিয়ে গলা পেচিয়ে ফেলে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে রেজাউল করিম সজল নামে এক ব্যক্তি ঠেকানোর চেষ্টা করলে ধারালো রামদার আঘাতে তিনি আহত হন। এরপরই মরিচের গুড়া ছিটিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ সময় রিপন শেখ নামে ওই ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন স্থানীয়রা।
আহত রেজাউল করিম সজল জানান, হঠাৎ করেই দেখি ওনাকে মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে ফেলেছে। তখন আমি ঠেকানোর চেষ্টা করলে ওরা মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেয়। এরপরই রামদা দিয়ে কোপ দিতে গেলে আমি ধরে ফেলি। তখন আমার হাতের কনুইয়ের অংশ কেটে যায়।
এ ব্যাপারে কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে ৪ জনকে চিনতে পেরেছি। রাজনৈতিক কারণে আমার ওপর এই হামলা হয়েছে। আমি সভাপতি হওয়ার পর থেকে বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে আসছি। এতে ওরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আজ এ ঘটনা ঘটায়। পূর্বেও চক্রটি আমাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হলে স্থানীয়রা একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরবর্তীতে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।