নিউজ ডেস্ক:
পাকিস্তানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১১ বছর বয়সী এক বালক তার বক্তব্য চুরির অভিযোগ তুলেছে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে একটি মামলাও করেছে সে। খবর এনডিটিভির।
ওই বালকের দাবি, পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সে একটি বক্তব্য প্রস্তুত করে। আর সেটিই চুরি করেছে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
মুহাম্মদ সাবিল হায়দার নামের ওই বালক তার বাবা নাসিম আব্বাস নাসিরের মাধ্যমে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে মামলাটি দায়ের করে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, তার তৈরি করা বক্তব্য চুরি করেছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং সেটি তার অনুমতি ছাড়াই অন্য একজন ব্যবহার করেছে। শুক্রবার বিচারপতি আমের ফারুক এর আদালতে ওই আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে বলে এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্টে বলা হয়েছে।
সাবিল হায়দার তার মামলায় রাষ্ট্রপতির সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথোরিটি (পিইএমআরএ), পাকিস্তান টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ইসলামাবাদ মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল আয়েশা ইশতিয়াককে আসামি করেছেন।
ইসলামাবাদ মডেল বয়েজ কলেজের ছাত্র সাবিল হায়দার তার মামলায় উল্লেখ করেছে, চলতি বছরের ২৩ মার্চ সে প্রেসিডেন্সি আয়োজিত এক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। সেখানে সে একটি বক্তব্য দেয়। এ জন্য প্রেসিডেন্ট তাকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি চিঠিও দেয়। জিন্নাহর ১৪১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘কায়েদ-ই-আজম আউর বাচ্চে’ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানে তাকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য গত ১৪ ডিসেম্বর অনুরোধ করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ‘পাকিস্তান কা মুস্তাকবিল’ শিরোনামে ২২ ডিসেম্বর তার বক্তব্য রেকর্ড করার কথা ছিল। এ জন্য সে ১৪ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন অনুশীলনে অংশ নিয়েছে। অনুশীলনের জন্য সে তার বার্ষিক পরীক্ষার দুটি বিষয়ে (ইংরেজি ও সাধারণ বিজ্ঞান) পরীক্ষাও দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে তার আইনজীবী বলেন, হায়দারের বক্তব্য প্রেসিডেন্সি থেকে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সেটি তারা অনুমোদনও দেন। ২২ ডিসেম্বর সে ‘আইয়ান ই সাদর’ (প্রেসিডেন্সি প্রাসাদ) পৌঁছালে প্রেসিডেন্সির কর্মকর্তারা তাকে মেকআপ নেওয়ার জন্য পাঠিয়ে দেন। সেখান থেকে এসে সে তার জন্য সংরক্ষিত আসনে বসে অপেক্ষা করছিল তার বক্তব্যের জন্য। এ সময় হঠাৎ সে আঁতকে ওঠে অন্য স্কুলের এক মেয়ের বক্তব্য শুনে। মেয়েটি হুবহু তার বক্তব্যই দিচ্ছিল তখন। এ ঘটনায় সে চরমভাবে মর্মাহত হয়। তার বক্তব্য চুরি করে অন্য একজন বক্তব্য দেওয়ায় সে খুব অপমানিত বোধ করে বলে তার আইনজীবী জানায়। এটিকে ‘চুরি’ বলে অভিহিত করে, মামলা ঠুকে দেয় সে।