নিউজ ডেস্ক:
কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক তরুণীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ল দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ওই তরুণী। এই ঘটনায় ওই তরুণীরই প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রেমিকাকে না পাওয়ার রাগ থেকেই ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাঁকে হত্যার ছক কষেছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছে ধৃত।
গুরুতর আহত ওই তরুণীকে রাতেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি বাইকে করে দুই যুবক এসে তরুণীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে গুলিবিদ্ধ তরুণীকে। ঘটনার খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
সোনারপুর মহাবিদ্যালয়ের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী পড়াশোনার পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিও করেন। মঙ্গলবার রাত সোয়া ন’টা নাগাদ অফিস থেকে সোনারপুর গোরখাঁড়া ঘোষপাড়ার বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাড়িতে ঢোকার ঠিক আগেই তাঁকে লক্ষ্য করে দুই বাইক আরোহী গুলি চালায়। গুলিতে গুরুতর জখম হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
বারুইপুর জেলার পুলিশ সুপার অজয় প্রসাদ সোনারপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। রাতেই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সৌমেন কয়াল নামে এক যুবককে আটক করে সোনারপুর থানার পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, সৌমেনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। দু’জনের শারীরিক সম্পর্কও ছিল। আক্রান্ত তরুণীর মোবাইলে দু’জনের ঘনিষ্ঠ ছবিও পাওয়া গিয়েছে। এর পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
জেরায় সৌমেন জানিয়েছে, টালিগঞ্জের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে সম্প্রতি ঘনিষ্ঠতা হয় ওই তরুণীর। যার জেরে সৌমেনের সঙ্গে তরুণীর সম্পর্কে অবনতি হয়। কয়েক দিন আগে তরুণীর বাড়িতে গিয়ে হুমকিও দিয়ে আসে অভিযুক্ত যুবক। জেরায় সৌমেন স্বীকার করেছে, প্রেমিকাকে না পেয়েই ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাঁকে হত্যা করার ছক কষেছিল সে। হামলার ঘটনায় আর কে কে জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।