নিউজ ডেস্ক:
প্রেমের টানে নিষিদ্ধ পল্লীর অন্ধকার কুঠুরি থেকে আলোর পথে এলেন এক তরুণী। পুলিশ ও মহিলা কমিশনের সাহায্যে পেশায় দেহব্যবসায়ী প্রেমিকাকে উদ্ধার করল তার প্রেমিক। দিল্লিতে এই ঘটনা ঘটেছে।
নেপালের বাসিন্দা ওই তরুণী ২০১৫ সালের ভূমিকম্পের পর সব হারিয়ে ঘুরতে ঘুরতে দিল্লিতে এসে পৌঁছান। অজ্ঞাত একজন তাকে বিক্রি করে দেয় জিবি রোডে। সেই থেকে পেটের দায়ে দিল্লির জিবি রোডের অন্ধকার কুঠুরিই হয়ে ওঠে তার ঠিকানা। কিন্তু একদিন সেই অন্ধকার জীবনেই হঠাৎ আলোর দেখা পান তিনি।
বাজারের মধ্যে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় ২৭ বছরের ওই তরুণীর। এরপর থেকেই সেখানে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন ওই যুবক। ধীরে ধীরে এই আলাপ প্রেমে পরিণত হয়। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। কিন্তু সেখান থেকে পালাতে ব্যর্থ হন ওই তরুণী। এরপরই সোজা হেল্পলাইনে ফোন করে দিল্লি মহিলা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার প্রেমিক।
ফোন পেয়ে পুলিশ ও মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। মহিলা কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে কমিশনের অফিসে একটা ফোন আসে। একটি পুরুষ কণ্ঠ জানায় জিবি রোডের এক নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। ৬৮ নম্বর ঘরে তিনি থাকেন। তিনি ওই পেশা ছেড়ে তার সঙ্গে বেরিয়ে আসতে চান। এজন্য তাদের সাহায্য প্রয়োজন। এরপরই পুলিশের সাহায্যে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তারা দু’জনে বিয়ে করেন।