নিউজ ডেস্ক:
স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরে হলেও প্রবাসে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে বর্তমান সরকার। কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব দূতাবাস প্রধান মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম খানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এ বিষয়ে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান স্বাধীনতার দীর্ঘ কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলেও কোন সরকার প্রবাসে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের কোন খবর নেননি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভুলেনি বিশেষ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাছিনা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাক জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ভুলেনি। তাদের যথাযথ সম্মান জানাতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।
তিনি কুয়েতে অবস্থানরত প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য গেজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য সকল সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এবং সকল মুক্তিযোদ্ধাদের উল্লেখিত তথ্যসহ আগামী ৩১ অক্টোবর ২০১৭ মধ্যে দূতাবাসে জমা দিতে অনুরোধ করেন। রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম আরো জানান মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক কোন লিস্ট না থাকার কারণে প্রবাসে তাদের মূল্যায়ন হয় না। এই সরকার সেই সুযোগ করে দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলা হয়েছে কুয়েতে যেসব প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা আগে অনলাইনে আবেদন করতে পারেননি তাদের নাম ও তথ্যাবলি গেজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন ফরম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে আগামী ৩১ অক্টোবর ২০১৭ মধ্যে দূতাবাসে জমা দিতে। যেসব প্রমাণাদি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার এর মধ্যে ভারতীয় তালিকা, গেজেটের কপি, জাতীয় তালিকা, জেলা কমান্ডারের প্রত্যয়নপত্র, বিএলএফ সনদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামরিক সনদ, বঙ্গবন্ধু সনদ, লাল মুক্তিবার্তা, অস্ত্র জমাদানের রসিদ, প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত সনদ, সবুজ মুক্তিবার্তা, যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষণ সনদ, ওসমানী সনদ, সেক্টর কমান্ডারের প্রত্যয়নপত্র, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রত্যয়নপত্র, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাময়িক সনদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রত্যয়নপত্র, উপজেলা কমান্ডারের প্রত্যয়নপত্র, ইউনিয়ন কমান্ডারের প্রত্যয়নপত্র, মুজিব বাহিনীর প্রত্যয়নপত্র, যুদ্ধকালীন কমান্ডারের প্রত্যয়নপত্র ও তিনজন সহযোদ্ধার প্রত্যয়নপত্র।
কুয়েত প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. শাহরিয়ার হুদা সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন এটা বর্তমান সরকারের একটি মহৎ গুণের বহিঃপ্রকাশ। দীর্ঘদিন হলেও প্রবাসে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজ নিচ্ছেন। এ তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের স্থান না দেওয়ার দাবী জানান।