ক্রীড়া প্রতিবেদক : মৌসুমের এ সময়টায় শুরুর মতো ব্যাটসম্যানদের ‘বিরুদ্ধাচরণ’ করার কথা নয়। কিন্তু লম্বা বিরতির পর মাঠে ফেরা জাতীয় লিগের প্রথম দিনে দাপট কিন্তু বোলারদের।
চার ম্যাচের তিনটিতেই চলছে পরে ব্যাট করা দলের ইনিংস। বোলারদের কর্তৃত্বের ছড়িটা আবু জায়েদের হাতে। রাজশাহীর বিপক্ষে মাত্র ৪৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন সিলেটের এ পেসার।
জাতীয় লিগের শুরুতে ছিল বৃষ্টির দাপট, এবার বাগড়া দিচ্ছে কুয়াশা। সিলেট স্টেডিয়ামে সে কারণে খেলা শুরু হয়েছে কিছুটা বিলম্বে। তার পরও খেলা হয়েছে ৭৬ ওভার। ব্যাটসম্যানদের কাঁধে চড়ে ৭ উইকেটে ৩১৫ রান তুলে দিন শেষ করা রংপুরও রয়েছে স্বস্তিতে।
এই একটি ম্যাচ বাদ দিলে বাকি তিনটিই ব্যাটিং বিপর্যয়ের গল্প। ফতুল্লায় আশাব্যঞ্জক শুরুর পরও মাত্র ১৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে ঢাকা মেট্রোপলিস। জবাবে ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ঢাকা বিভাগও। বিকেএসপিতে বরিশালের ১৭১ রানের প্রথম ইনিংসে ফজল মাহমুদের একারই ৯৫। তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না বাকিদের কী হাল! ২০ ওভারে ১ উইকেটে ১০১ রান তুলে এ ব্যর্থতার ‘সাজা’ প্রতিপক্ষকে দিচ্ছেও খুলনা।
বগুড়ায় অনুষ্ঠিত দিনের আরেক ম্যাচেও বোলারদের দাপট, এক দিনে পতন ঘটেছে ১২ উইকেট। আবু জায়েদের বোলিংয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহী গুটিয়ে গেছে ২০৪ রানে। দিনের শেষভাগে ৪৩ রানে ২ উইকেট খুইয়েছে সিলেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ঢাকা মেট্রো-ঢাকা বিভাগ : মেট্রো ৭৭.১ ওভারে ১৬৬/১০ (সাদমান ৪৭, আশরাফুল ৩৯, শরিফ ৪/৩৫)। ঢাকা ৬.২ ওভারে ১৯/২।
বরিশাল-খুলনা : বরিশাল ৬০.৪ ওভারে ১৭১/১০ (ফজলে ৯৫; জিয়া ৩/২৯, আশিক ৩/৩৩)। খুলনা ২০ ওভারে ১০১/১ (মেহেদী ব্যাটিং ৫৫, এনামুল ব্যাটিং ১৫)।
রাজশাহী-সিলেট : রাজশাহী ৬৫.৫ ওভারে ২০৪/১০ (আবু জায়েদ ৬/৪৮)। সিলেট ১৫ ওভারে ৪৩/২ (সায়েম ব্যাটিং ৩০)।
রংপুর-চট্টগ্রাম : রংপুর ৭৬ ওভারে ৩১৫/৭ (লিটন ৭৩, আরিফুল ৫২, সোহরাওয়ার্দি ব্যাটিং ৬২, হোসেন ৩/৬৪)।