নিউজ ডেস্ক:
কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা থানাধীন গ্রামে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি, তার শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে মর্মে পুলিশ হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
বৃহস্পতিবার ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় এজাহারে নাম থাকা পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া ভুক্তভোগীর জবানবন্দিতে এসেছে ধর্ষণ নয়, এখানে শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের প্রতিবেদনটি আগামী ২১ জানুয়ারি আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
গত ৯ জানুয়ারি কুমিল্লায় ওই প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কথিত ধর্ষক মো. নজরুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রনোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
আসামিকে গ্রেফতারের অগ্রগতি প্রতিবেদন কুমিল্লার পুলিশ সুপার ও বাঙ্গরা থানার ওসিকে ১৯ জানুয়ারি আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
গত ৭ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘কুমিল্লার বাঙ্গরা: বোনকে ধর্ষণ ভাইকে কোপ, থানায় সালিস’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মুজিবুর রহমান।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৩ ডিসেম্বর প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে গ্রামের পাশে একটি ইটের ভাটায় নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করে প্রতিবেশী নজরুল (৩০)। সে ওই গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক নজরুলকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। পরদিন শনিবার প্রতিবন্ধী মেয়েটির ভাই নিজাম উদ্দিন ঘটনা শুনে নজরুলের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। তখন তাঁকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে নজরুল। আহত নিজামকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।