নিউজ ডেস্ক:
মদ খেয়ে গাড়ি চালানো মানে গুরুতর অপরাধের সমান। পা টলমল অবস্থায় কখন যে কার গায়ের উপর গাড়ি উঠে যাবে তা কেউ জানে না। তাই দুর্ঘটনা হাত থেকে বাঁচতে ‘ডোন্ট ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ’ ক্যাপশনে প্রচারও চালানো হয়।
যখন একদিকে এই মদের জন্যেই যখন এতকিছু করা হচ্ছে তখন অন্যদিকে একটি সুখবর আছে। মদ ছাড়া ঘুড়বে না গাড়ির চাকা। শুনে আঁতকে উঠলেন নাকি? মদ খেয়ে গাড়ি চালানো নিয়ে এত গণ্ডগোল আর এখন এই মদ ছাড়াই নাকি চলবে না গাড়ি! বিষয়টা পরিষ্কার করে বলা যাক।
এখন পেট্রোল নয় হুইস্কিতে চলবে গাড়ি। টেকনোলজির যুগে এমন কিছু আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের কাছে আহামরি কিছু না। তারা হুইস্কি থেকে এমন এক ধরনের জ্বালানি আবিষ্কার করেছে যেটা গাড়ির ফুয়েল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ২০১৯ সালে হুইস্কি থেকে তৈরি হওয়া জ্বালানি দিয়ে গাড়ি চলবে। হুইস্কিতে থেকে জ্বালানি আবিষ্কার করেছেন স্কটল্যান্ডের এডিনর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা হুইস্কির বর্জ্য পদার্থ থেকে তৈরি একটি তরল আবিষ্কার করেছেন। যার নাম ‘বায়োবুটানল’। নতুন এই জ্বালানিতে কার্যকারিতায় পেট্রোল এবং ডিজেলের সঙ্গে এর তেমন কোনও তফাত নেই।
নেপিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন স্কটল্যান্ডে প্রতি বছর হুইস্কি থেকে ৭.৫ লক্ষ টন থেকে বর্জ্য বের হয়। এই বিপুল পরিমাণ বাতিল সামগ্রী এতদিন কোনও কাজে আসত না।
এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক মার্টিন ট্যাংনের মতে, এই তরল তৈরিতে তারা তেমন কোনও কারিকুরি করেননি। বর্জ্য পদার্থ থেকে স্রেফ তরল এবং শক্ত পদার্থ আলাদা করেছেন। পেট্রোলের বিকল্প হিসাবে এটা খুবই কার্যকরী বলে দাবি গবেষকদের। বায়োবুটানলচালিত গাড়ি তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে চালিয়ে দেখিয়েছেন।
হুইস্কি দিয়ে জ্বালানির মাধ্যমে গাড়ি চালানোর ঘটনা পৃথিবীতে এই প্রথম। স্কটল্যান্ড শুধুমাত্র হুইস্কির জন্য পরিচিতি পায়নি। পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে এটি পথ দেখাবে। গবেষকদের ধারণা ২০১৯ সালের মধ্যে এই জ্বালানিতে পুরোদস্তুর গাড়ি চলবে। যা দুনিয়ার অনেক চাহিদা মেটাবে।