নিউজ ডেস্ক:
পেটের মেদ নিয়ে অস্বস্তির শেষ নেই, তাই মেদ কমাতে নানা উপায় অবলম্বন করেন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। কিন্তু সব পন্থাই কার্যকরী হয়ে ওঠে না। কিছু ডায়েট সিক্রেট অনুসরণ করে আপনিও মেদ কমিয়ে সুন্দর ফিটনেস গড়ে তুলতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নিই মেদ কমানো কিছু কার্যকরী উপায়!
১. চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন:
সাধারণত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার হজম হতে সমস্যা হয় বলে এই খাবারগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। ভাপে সিদ্ধ এবং আস্ত শস্যের তৈরি খাবার খান, যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী। বার্গার, পিজা, হটডগের মত প্রক্রিয়াজাত খাবার সহজে হজম হয়না।
২. লবণযুক্ত খাবার গ্রহণে সতর্কতা:
আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যে, লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে এবং শরীর ফাঁপার অন্যতম কারণ এটি। পেটের মেদ কমাতে চাইলে বেশি লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কোনভাবেই কাঁচা লবণ খাওয়া যাবে না।
৩. আঁশযুক্ত খাবার খান:
আপনার খাবারে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার যুক্ত না করলে পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে এবং আপনার পাকস্থলীকে বড় দেখায়। তাই সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবারই খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করা। কমলা, মাশরুম, স্ট্রবেরি, ব্রোকলি ইত্যাদি খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর ফাইবারের চমৎকার উৎস।
৪. পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন:
সোডিয়াম যেমন শরীরে পানি ধরে রাখে ঠিক তার বিপরীত কাজটি করে পটাসিয়াম, অর্থাৎ পটাসিয়াম শরীরকে অতিরিক্ত পানি মুক্ত হতে সাহায্য করে। কলা এবং মিষ্টি আলুর মত পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে ফোলা পেট কমতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম করার কথা ভুলবেন না কারণ এই খাবারগুলো বেশি খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৫. হাইড্রেটেড থাকুন:
ফাইবারের কাজ ঠিকমত করার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে আপনার শরীরের সোডিয়াম ও পটাসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া কোমল পানীয়, নিম্নমাত্রার কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার ও চিনি মুক্ত খাবার। যেগুলো থাকে কৃত্রিম মিষ্টিকারকে। এটি শরীরে ঠিকমত হজম হয় না। বৃহদান্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এগুলো গাঁজিয়ে ওঠে বলে গ্যাস তৈরি হয় ও পেট ফাঁপার সমস্যা তৈরি করে। খাবার কেনার সময় লেবেলটি দেখুন এতে সরবিটল, ম্যানিটল, জাইলিটল এবং লেসিটল আছে কিনা, থাকলে এই খাবারগুলো কেনা থেকে বিরত থাকুন।
সূত্র: ডেইলি লাইফ