নিউজ ডেস্ক:
কত রকম আশ্চর্য ঘটনাই না ঘটে বিশ্বজুড়ে। পরিবর্তনশীল জগতে প্রতিমুহূর্তে বদলে যাচ্ছে হিসেব-নিকেশ। কাল যা ভাবতে অবাক লাগত, আজ তা-ই হয়তো বিশ্বাস না করে উপায় নেই। ঠিক এমনই কিছু হিসেব-নিকেশ ওলটপালট করে দিয়ে প্রকাশ্যে এল ‘ডেভ’। যুক্তরাজ্যে আচমকাই সন্ধান পাওয়া গেছে তাঁর। এমন মিষ্টি নাম শোনার পর মনে হতেই পারে কে এই ‘মহান ডেভ’ বা কী তাঁর কীর্তি যা একেবারে দেশবিদেশের সংবাদের পাতায় জায়গা পেয়েছে!
তিনি পৃথিবার সবচেয়ে ক্ষুদ্র জীবগুলির মধ্যে একটি— কেঁচো। হ্যাঁ, যা শোনার পর অনেকেরই গা ঘিনঘিন করে উঠতে পারে। তবে পুরোটা পড়ার পরে খানিক ভয় লাগাও অস্বাভাবিক নয়। আয়তনে এই কেঁচোটি একটি ছোটখাটো সাপকেও হার মানায়। লম্বায় প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার (১৫.৭ ইঞ্চি) কেঁচোটি পাওয়া গিয়েছে একটি সবজির ব্যাগে। যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা পল রিস সর্বপ্রথম এটিকে দেখতে পান এবং পরে এর নামকরণ করেন স্টেপসন জর্জ।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম-এর এর গবেষক এমা শার্লক জানিয়েছেন, তিনি যখন প্রথম এই কেঁচোটিকে দেখেন, নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তিনি বলেন, ‘ওঁরা যে প্লাস্টিকের বাক্সতে ডেভ-কে এখানে পাঠিয়েছিল, সেটা খোলার পর আমি হতভম্ভ হয়ে যাই। কারণ এটা শুধু লম্বাতেই বেশি নয়, সঙ্গে ওজনও যথেষ্ট বেশি। ’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অতিরিক্ত উর্বর মৃত্তিকার কারণেই কেঁচোটি এই আয়তনের হয়েছে। সঙ্গে তাঁরা এও মনে করছেন, কোনো অন্য প্রাণী এতদিন একে খায়নি বলেই দীর্ঘ সময় ধরে কেঁচোটি বাড়তে পেরেছে। পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত যে ক’টি বিশাল দৈর্ঘ্যের কেঁচো পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে ‘ডেভ’ অন্যতম। তাই সহজেই ‘ডেভ’ জায়গা করে নিয়েছে রেকর্ড বুকে।