নিউজ ডেস্ক:
অবশেষে এসে পড়ল সেই দিন। শুক্রবারই পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে মৃত্যুদূত।
একেবারে কাছ ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে ‘ফ্লোরেন্স’। আগেই এই দিনের ইঙ্গিত দিয়েছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসার ‘নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ’-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, এই প্রথম পৃথিবীর এত কাছ দিয়ে এত বড় গ্রহাণু বেরিয়ে যাবে। পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসা গ্রহাণু সংক্রান্ত গবেষণা যেদিন থেকে শুরু করেছে নাসা, তারপর এত বড় গ্রহাণুর ধেয়ে আসার ঘটনা এই প্রথম।
তবে এটি পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছে নাসা। নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এই গ্রহাণু পৃথিবী থেকে ৭০ লক্ষ কিলোমিটার দূর দিয়ে বেরিয়ে যাবে। গ্রহাণুটির নাম ‘ফ্লোরেন্স’। এর আকার ৪.৪ কিলোমিটার। নাসার স্পিতজার স্পেস টেলিস্কোপে এই গ্রহাণুর অবস্থান সম্পর্কে জানা গিয়েছে।
নাসার সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (CNEOS) -এর ম্যানেজার পল কোডাস জানিয়েছেন, ‘এর আগে এর থেকেও কাছ ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে অনেক গ্রহাণু, তবে সেগুলি আকারে ছোট ছিল। ফ্লোরেন্সের আকার সেই তুলনায় অনেকটাই বড়। ’
নাসা যখন থেকে পৃথিবীর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া গ্রহাণুগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে, তারপর এই ফ্লোরেন্সই হল সবথেকে বড় গ্রহাণু যা পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে যাবে। আগস্টের শেষের দিক থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিক পর্যন্ত রাতের আকাশে টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখা যাবে ‘ফ্লোরেন্স’ নামের এই গ্রহাণুকে। এই গ্রহাণু এত কাছ দিয়ে যাওয়ায় এটি বিজ্ঞানীদের গবেষণার সুযোগ অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৮১ তে অস্ট্রেলিয়ার ‘সিডিং স্প্রিং অবজারভেটরি’তে প্রথম আবিষ্কার করা হয় এই গ্রহাণু। নাসার রাডার ইমেজে ধেরা পড়বে ফ্লোরেন্সের প্রকৃত আকার ও আয়তন। এমনকি এর অবস্থান ও পৃষ্ঠের চেহারাও পাওয়া যাবে বলে দাবি নাসার।