আলমডাঙ্গায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ এক ডজন মামলার আসামী ও চরমপন্থী সংগঠন
নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গা উপজেলার কুয়াতলা-হারদী দাঁতভাগী মাঠের বিডিআর পুকুর পাড় থেকে একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পাটির শীর্ষ নেতা মুক্তার আলী (৩৬) নামে চিহিৃত এক ডাকাতের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত মুক্তার মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। নিহত মুক্তারের পিতা আব্দুল হামিদ চরমপন্থী দলের সদস্য ও মেহেরপুর জেলার কুখ্যাত সন্ত্রাসী বলে জানা গেছে। আব্দুল হামিদ একটি হত্যা মামলায় ৩২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নে জনৈক কৃষক শনিবার সকালে মাঠে কাজে যাওয়ার সময় কুয়াতলা-হারদী দাঁতভাগী মাঠের বিডিআর পুকুর পাড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে গুলিবিদ্ধ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নেয়। পরে থানা থেকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লাশের ময়নাতদন্ত করার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। দুপুর ১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মেলাতে সক্ষম হয়। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, এলাকাবাসীর দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ কুয়াতলা-হারদী দাঁতভাগী মাঠের বিডিআর পুকুর পাড়ে পড়ে থাকা অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। পরে থানা থেকে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। লাশের পরিচয় নিশ্চিত করতে আশেপাশের থানায় ম্যাসেজ পাঠানো হয়। দুপুর ১টার দিকে মেহেরপুর সদর থানার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় নিহত ব্যক্তি মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী চরমপন্থীদলের সদস্য ৩২ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামী মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী মুক্তার। তার বিরুদ্ধে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ এক ডজন মামলা রয়েছে। ডাকাতির মালামাল ও টাকা পয়সা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের গুলিতে মুক্তার মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।