নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘আগামী প্রজন্মকে সক্ষম করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যে চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চুয়াডাঙ্গা ভূমিকম্প, দুর্ঘটনা ও অগ্নি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপের মহড়ার আয়োজন করে।
এরপর পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ফায়ার ফাইটারস, বেসরকারি সংস্থা, সুধীসমাজের প্রতিনিধিগণ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।আলোচনাসভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। প্রতি বছর কোন না কোনো দুর্যোগে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। আগাম সতর্কবার্তার ওপর ভিত্তি করে দুর্যোগ আঘাত হানার আগেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেলে দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট উভয়ভাবেই দুর্যোগ আসতে পারে। দুর্যোগ প্রতিরোধের যেমন ব্যবস্থা আছে আবার প্রতিকারেরও ব্যবস্থা আছে। এই বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে।