নিউজ ডেস্ক:
পাপুয়া নিউ গিনিতে মঙ্গলবার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ২।
অত্যন্ত শক্তিশালী এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তাকের ওপর রাখা জিনিষপত্র কাঁপতে থাকে ও পরস্পরের সঙ্গে ঠুকে যায়।
তবে, এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পটি সোমবার গ্রিনিচ মান সময় ২১টা ১৯ মিনিটে বুলোলো শহর প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ১২৭ কিলোমিটার ভূগর্ভে সংঘটিত হয় এবং উৎপাত্তস্থল থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতেও ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
কর্মকর্তারা বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি এবং কোন সুনামির আশঙ্কাও নেই।
বুলোলো থানার কমান্ডার ইন্সপেক্টর লিও কাইকাস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাইনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখনো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
বুলোলোর পাইন লজ হোটেলের একজন স্টাফ বলেন, টেবিল থেকে জিনিষপত্র পড়ে সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ১শ’ কিলোমিটারের বেশি দূরে লায়ের বাসিন্দারা বলেন, ভূমিকম্পের সময় জিনিষপত্র পরস্পরের সাথে ঠুকে যায়। এ সময় কোন কোন এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ক্রিস্টোফার লাম বলেন, ‘আমি ঘুম থেকে উঠেই ভূমিকম্প অনুভব করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটি ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় স্থায়ী হয়। এ সময় গৃহস্থালী জিনিষপত্র পরস্পরের সঙ্গে ঠুকে যায় এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
লাম বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আমাদের ভবনের কোন ক্ষতি হয়নি। তবে শহরের অন্যান্য ভবন সম্পর্কে নিশ্চিত নই।’
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে আনুমানিক ১ লাখ ১০ হাজার লোকের বসবাস রয়েছে।