নিউজ ডেস্ক:
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর আরোপিত এন্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।
রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে ভারতের ৬৮তম প্রজতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ‘ইউনিটি ইন ডাইভার্সিটি ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, ভারতে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য আমদানিতে এন্টি ডাম্পিং শুল্কসহ বিভিন্ন শুল্ক আরোপের ফলে আশানুরূপ রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের অ্যালকোহল ও তামাকজাত পণ্য ছাড়া সব পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে এন্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রয়োগ করায় দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা বেড়েছে।
তিনি বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের বন্ধু। দেশ স্বাধীনের ক্ষেত্রে ভারতের অবদান অনেক বেশি। তাই আশা করবো ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পাটের ওপর থেকে এন্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার করে দুই দেশের বাণিজ্যকে আরও শক্তিশালী করবেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে আমরা ভারতের কাছ থেকে সব ধরনের সাহায্য পেয়েছি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু ভারতের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েই বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে ভারতের সঙ্গে আমরা বিভিন্ন চুক্তি করেছি। তিস্তা চুক্তি বাদে আমরা সব চুক্তিতে সফল হয়েছি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে পাকিস্তানের থেকে অনেক এগিয়ে। আমরা জিডিপিতে অনেক এগিয়েছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের থেকেও এগিয়ে।
এর আগে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা বলেন, দুই দেশের মধ্যে গণতান্ত্রিক এবং প্রজাতান্ত্রিক দিক থেকে অনেক মিল রয়েছে। ফলে চাওয়া পাওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক মিল রয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরা গান্ধীর সম্পর্কের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে। আমরা চাই এ সম্পর্ক চিরকাল টিকে থাকুক।
এসময় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি প্রফেসর এমিরেটস ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ৭১ টিভির প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী প্রমুখ।