নিউজ ডেস্ক:
দর্শন, শ্রবণ, ঘ্রাণ, স্বাদ, স্পর্শ-এর বাইরে আর কী অনুভূতি থাকতে পারে মানুষের? সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা জানাচ্ছে, এই চেনা ইন্দ্রিয়ের বাইরে রয়েছে এমন কিছু ইন্দ্রিয়-জগৎ, যার সন্ধান আমরা সেভাবে রাখি না।
এমনই এক অনুভূতি হল ‘প্রোপ্রায়েসেপশন’, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘নিজের উপরে দখলদারি’। এই বিশেষ অনুভূতিটি মানুষকে তার দেহের আয়তন এ পরিমাপ সম্পর্কে সচেতন রাখে। যে কোনও সময়-পরিসরে দেহকে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে।
আর একটি অনুভূতি হল ‘থার্মোসেপশন’। এর দ্বারা মানুষ তার চারপাশের তাপমাত্রাকে টের পায়। এই অনুভবই মানুষকে তার দেহের তাপমাত্রাকে সমমাত্রিক রাখে। এর দ্বারাই আমরা বুঝতে পারি, কখন লেপমুড়ি দিতে হবে আর কখন ঠান্ডা ঘোলের সরবত খেতে হবে।
আর একটি ইন্দ্রিয়ানুভূতি ‘ইকুইলিব্রিওসেপশন’। এর কাজ দেহের ভারসাম্য বজায় রাখা। এর কৃপাতেই মানুষ হাঁটা বা দৌড়াপাঁচটি নয়, আরও ইন্দ্রিয় রয়েছে মানুষেরনোর সময়ে পড়ে যায় না। এর বাইরেও রয়েছে ক্ষুধা-তৃষ্ণা, সময় এবং দিক-সংক্রান্ত অনুভূতি। ক্ষুধা-তৃষ্ণার অনুভূতি আমাদের দেহ কখন পুষ্টি চাইছে, তা ব্যক্ত করে। এবং সেভাবে দেখলে, এই অনুভূতিগুলি পঞ্চেন্দ্রিয়ের হিসাবে পড়ে না।