নিউজ ডেস্ক:
পর্তুগালের বাংলাদেশ দূতাবাস মুক্ত আকাশের নিচে রবিবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্ম বার্ষিকী ও ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেন।
রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ও ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে আগত প্রবাসীদের স্বাগত জানায় দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। এই সময় রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী ও মিসেস সিদ্দিকী সকলের সাথে ঈদের কুশলাদি বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ দম্পতির প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রানপ্রিয় হয়ে উঠে। পর্তুগীজ মূলধারার ও বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক অথিতির মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের নামকরা অপেরা সঙ্গীত এলিট দম্পতি এলিসেট তেশেইরা।
সমবেত সকলের কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর শুরু হয় দেশী ও বিদেশী নারীদের বালিশ খেলা। পরবর্তীতে পাভেলের রবীন্দ্র সঙ্গীত ও সুমাইয়ার আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী নাচের মাধ্যমে দূতাবাস প্রাঙ্গনকে মনে হয়েছে রমনার বটমূল।
হঠাৎ এক সময় স্বয়ং রাষ্ট্রদূত চলে আসেন মঞ্চে, দর্শকদের অবাক করে আবৃত্তি করেন নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের কবিতা, আর করতালিতে মুখরিত হয় পুরো অনুষ্ঠান। তারপরই দর্শক শ্রোতা কিছু সময়ের জন্য নীরব নিস্তব্দ হয়ে শুনেন প্রবাসী সোহেল রহমানের ভরাট গলার এক চমৎকার আবৃত্তি ও সাংবাদিক নাঈম হাসান পাভেলের দেশাত্বক বোধক গান যা দর্শকদের মুগ্ধ করে ছাড়েন। শেষে মোস্তফা আনোয়ারের যন্ত্র সংগীত ও সাইদ শাহিনের তবলার মূর্ছনায় মনে হোল সবাই যেন বাংলাদেশেই আছি।
সবশেষ র্যাফেল ড্র, শিল্পীবৃন্দের পুরস্কার, সেরা দম্পতির পুরস্কার ও দূতাবাস কর্তৃক প্রবাসীদের জন্য নৈশ ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।