বায়েজীদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসনেপুর ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার মুখে লাগানো লক্ষিপুর মৌজার জেএল নং ৪৯ খতিয়ান নং- ১৯৮ এর ৬১৯ নং দাগে ৫৪ শতাংশ জায়গার মধ্যে ২৭ শতাংশ পত্রিক সূত্রে মালিকানা থাকা সত্বেও পত্রিক সম্পতি রক্ষা করতে গিয়ে নানা ভাবে হয়রানিসহ প্রতিপক্ষ লেবুগং এর হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন সাবেক ইউপি সদস্য আলম মিয়াসহ তাদের কয়েকটি পরিবার ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উল্লেখিত দাগের জমিতে বসতবাড়ী স্থাপন করেছেন পত্রিক সুত্রে মালিকানা দাবীকারীগং তাদের এ বসতবাড়ী উচ্ছেদ করে দিতে নানা ভাবে হয়রানি ও প্রতিপক্ষ লেবুগং কর্তৃক হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। অপরদিকে অভিযুক্ত লেবু গং এর কেউ ক্যামেরার সামনে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তবে তাদের পক্ষ হতে জানানো হয় এই জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাস্তার পাশে এ জমির বিষয়ে প্রবীন স্থানীয়রা জানান, এজমিটির অর্ধেক অংশের মালিক সাবেক মেম্বার আলম মিয়ার বাবা মৃত আকাবর হোসেন সরকার সেই সুত্রে আলম মেম্বার ও তার পরিবার এই জমির প্রকৃত মালিক । পাশ্ববর্তী গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি লেবুগং এই জমি ক্রয় সূত্রে মালিকানা দাবী করে এই জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ জমিজমাকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় এ জমি উপর বা মেরীহাট বাজার এলাকায় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে প্রানহানিসহ নানা ধরণের অর্থনৈতিক বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির আশংঙ্কা বিরাজ করছে স্থানীয় সকলের মাঝে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার সদস্যরা জানান , পত্রিক সূত্রে এ জমির মালিক হিসাবে আমরা আমাদের জমি দীর্ঘদিন হলো ভোগদখল করে আসিতেছি। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সেখানে বসতবাড়ী নির্মাণ করতে গেলে প্রতিপক্ষ লেবু গং আমাদের নানা ভাবে হয়রানি করছে।
এ জমিটি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তারপরে লেবুগং এর লোকজন জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় তারা বিজ্ঞ আদালতের চলমান মামলার রায় হওয়া পর্যন্ত উক্ত এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনে আমরা আইন শৃংখলাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।