নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্যের মোড়কজাতকরণে (প্যাকেজিং) কেমন ব্যাগ ব্যবহার হবে, তার সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। বাংলাদেশের পণ্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো আইন না থাকায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুত ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)। পণ্য প্যাকেজিংয়ে সুনির্দিষ্ট আইন থাকা প্রয়োজন বলে সংগঠন অভিমত প্রকাশ করেছে।
গত সোমবার রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিমত প্রকাশ করেন সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্প কোন পর্যায়ে থাকবে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তিনটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্যাকেজিং আইন সম্পর্কে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পাটের ব্যাগ ব্যবহারের নির্দেশনা সরকার দিয়েছে। আমরা পাটের ব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে না কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় প্যাকেজিংয়ে এখন প্লাস্টিকের কোনো বিকল্প নেই। কোন ধরনের পণ্যে কী ধরনের প্যাকেজিং করা হবে সেটি নির্ধারণে আইন করার কোনো বিকল্প নেই। শুধু প্যাকেজিং এর কারণে পণ্যের দাম বাড়ে। প্লাস্টিক প্যাকেজিং চালু হলে অনেক তরল পণ্যের দাম কয়েকভাগ কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্পটি গত বছর একনেকে পাস হয়েছে এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী ব্রিজের পশ্চিম পাশে বড়বত্তা এলাকায় ৫০ একর জমির ওপর প্লাস্টিক শিল্পনগরী গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে জায়গা নির্ধারণ করেছে বিসিক। শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিসিক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমেছে ১১.৫০ শতাংশ। আর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি অর্থের পরিমাণ ছিল ১০০.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৫-১৬ বছরে দাঁড়িয়েছে ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। রফতানি আয় কমার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা না থাকাকে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিপিজিএমইএ। তবে, চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি ইউসুফ আশরাফ, ফেরদৌস ওয়াহেদ, সামিম আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, প্রাক্তন সহ-সভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন।