৮ কোটি ৫৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৯ অক্টোবর) নোয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
দুদকের মামলায় দেখানো হয়, নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিল পরিশোধ পর্যন্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নোয়াখালীর সিলিং ডেকোরেশন কাজে ৮ আট কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সিলিং ডেকোরেশনের কাজের জন্য প্রতি বর্গফুট ধরা হয় ৬ হাজার ২০০ টাকা যার সরকারি গণপূর্ত বিভাগের দর অনুযায়ী প্রতি বর্গফুট ২১৪ দশমিক ৪৮ টাকা এতে সিলিং ডেকোরেশনের কাজে প্রতি বর্গফুটে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয় ৫ হাজার ৯৫০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম এবং ঠিকাদার আফসানা ইসলাম কাকলী পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।। বৃহত্তর নোয়াখালী দুদকের পিপি এডভোকেট নুর হোসেন মাসুদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অর্থ আত্মসাৎ অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অধ্যক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।