নিহত পুলিশ সদস্যরা হলেন– লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা সোনাইমুড়ী থানার কনস্টেবল মো. মোজাফফর ও উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর। নিহত অন্যদের মধ্যে সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের মো. তানভীর ছাড়া বাকি পাঁচজনের নামপরিচয় পাওয়া যায়নি।
সোনাইমুড়ী থানা সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর আন্দোলনকারীরা উল্লাস চলাকালে সোনাইমুড়ী থানায় ঢিল ছুড়ে ও হামলা করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশের গুলিতে কয়েকজন নিহত হয়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা সোনাইমুড়ী থানায় আগুন দেয়। এতে পুলিশের দুই সদস্য নিহত হয়। এসময় সোনাইমুড়ী থানার গাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ অফিসের বিভিন্ন কাগজপত্র পুড়ে যায়।
চাটখিলের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেল ৫টার দিকে এক দল বিক্ষোভকারী চাটখিল থানায় হামলা চালান। থানা ভবনের ভেতরে প্রায় প্রতিটি কক্ষে হামলা-ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, হামলার সময় থানার ভেতরে আটকে পড়েন পুলিশের তিন সদস্য। তারা ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন তাদের উদ্ধার করেন। হামলাকারীরা থানার কম্পাউন্ডে থাকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার প্রশিক্ষণের একটি গাড়িও পুড়িয়ে দেন।
নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. শাকিল বলেন, সোনাইমুড়ী থেকে গুলিবিদ্ধ তিনজনের লাশ হাসপাতালে আনা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বেশ কিছু মানুষ চিকিৎসাধীন। কিছু মরদেহ এন্ট্রি না করেই স্বজনরা নিয়ে যায়।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সোনাইমুড়ী ও চাটখিল থানায় বিক্ষোভকারীদের হামলা ও অগ্নিসংযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাটখিলে পুলিশের কোনো সদস্য হতাহত হননি। তবে সোনাইমুড়ীতে পুলিশের দুইজন নিহত হয়েছেন। ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের অন্য সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।