1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
মহাসাগরে তিমি না থাকলে চরম বিপদ | Nilkontho
২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | শনিবার | ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
কচুয়ায় রাতের আধাঁরে দুটি গরু চুরি বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার গভীর চক্রান্ত” ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিবে না: ইকোনমিক টাইমস ‘আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার শেষ করা হবে’ চাঁদপুরে মেঘনায় কোস্টগার্ডের অভিযানে আটক ২৮ হাসনাত আব্দুল্লাহ ইস্যুতে মুখ খুলল সময় টিভি ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি সুইজারল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যাবে হলুদের সমারোহে ছেয়ে গেছে শেরপুরের ফসলের মাঠ কুয়েতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের বড়দিন উদযাপন সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ সাংবাদিকদের প্রবেশ পাসও বাতিল আমলাদের কঠোর বার্তা উপদেষ্টা নাহিদের ইসরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় সিরিয়ার নতুন প্রশাসন বিএনপি নানা কৌশলে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৩৭ চুয়াডাঙ্গা শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন কৃষক দলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাড়ি ফেরার হলোনা কৃষক আইজালের ২ মাসের মধ্যে দেশে একাধিক রাজনৈতিক দল আসবে : সারজিস আলম ২৫ এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না শনিবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার প্রধান ফটক নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

মহাসাগরে তিমি না থাকলে চরম বিপদ

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

নীল তিমি সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী এই তিমি। যদিও পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে আশ্চর্য এ প্রাণীটি আজ বিলুপ্তির পথে। তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন, মহাসাগরে তিমি না থাকলে কি হতো?  যদি কখনো তিমির অস্তিত্ব পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যায়, তবে কি ঘটতে পারে? এসব প্রশ্নের উত্তর থাকছে আজকের লেখায়-

নীল তিমিকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী। এর সম্পর্কে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। বিশাল এই প্রাণীর জীবনাচরণ আজো মানুষের মধ্যে বিস্ময়ের উদ্রেক ঘটায়। এরা মাছের মতো ফুলকা দিয়ে নিঃশ্বাস নেয়, আবার ডিমও পাড়ে না। অক্সিজেন নেয় মানুষের মতো ফুসফুস দিয়ে। আবার বসবাস করে পানিতে। নীল তিমিরা পানিতেই শিশু তিমিকে দুধ খাওয়ায়। সমুদ্রে রাজত্ব করে বেড়ানো এই তিমি লম্বায় ১০০ ফুট হয়। যা কিনা সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের দ্বিগুণ।

সম্প্রতি রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে নীল তিমি। দক্ষিণ মহাসাগরের স্পার্ম হোয়েল সাগরের পানিতে মলত্যাগের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে কার্বন নিঃসরণ করে। এসব বর্জ্য পদার্থে আছে আয়রন, যা সাগরে প্ল্যাংকটন জন্মাতে সহায়তা করে। তিমির শ্বাসত্যাগের মাধ্যমে যে কার্বন ডাইঅক্সাইড পানিতে মেশে তা আবার ফাইটোপ্ল্যাংকটন সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় তাদের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করে এবং শক্তি উৎপন্ন করে। 

এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, একটি স্পার্ম হোয়েল বছরে প্রায় ৫০ টন মলত্যাগ করে। আবার একটি তিমি যে পরিমাণ কার্বন পরিবেশে ত্যাগ করে তার দ্বিগুণ পরিমাণ কার্বন তার মল দ্বারা শোষিত হয়। ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী, দক্ষিণ মহাসাগরে তিমির সংখ্যা ছিল ১২ হাজার, যা প্রায় চার লাখ টন কার্বন শোষণ করেছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, স্পার্ম হোয়েল তাদের অগোচরেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে চলেছে।

সায়েন্টিফিক আমেরিকান জার্নালের মতে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসমূহেও তিমি পর্যাপ্ত কার্বন শোষন করে। তাই যদি তিমির সংখ্যা দিনদিন কমতে কমতে শূন্যের কোটায় নেমে আসে তাহলে সেটা হবে এ পৃথিবীর জন্য চরম অভিশাপ। একটি বিজ্ঞান জাদুঘরের গবেষণা মতে, একটি তিমির মৃতদেহ সমুদ্রের প্রাণীদের ১০ বছরের খোরাক। মাত্র একটি তিমির মৃতদেহ সম্পূর্ণ ইকোসিস্টেমের খাবারের জোগান দিতে পারে। মাটিতে পচতে থাকা তিমির মৃতদেহ বহু ব্যাকটেরিয়া ও স্ক্যাভেঞ্জারের খাবারেরও উৎস।

নীল তিমির জীবনধারণ পদ্ধতি বেশ রহস্যময়। তাদের গড় আয়ু ৮০ থেকে ৯০ বছর। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বয়স্ক যে নীল তিমি খুঁজে পাওয়া গেছে, তার বয়স ১১০ বছর। পৃথিবীর প্রায় সব মহাসাগরেই নীল তিমি রাজত্ব করে বেড়ায়। এর মধ্যে- অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর ও ভারত মহাসাগর। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের নিউ ফান্ড ল্যান্ড, নোভা স্কশিয়া, গ্রিনল্যান্ড ও আইসল্যান্ডে দেখা যায় নীল তিমি। প্রশান্ত মহাসাগরে কোরিয়ান কিছু উপদ্বীপের কাছে দেখা যায়। আবার দক্ষিণ গোলার্ধে অ্যান্টার্কটিকা, ওশেনিয়া মহাদেশেও দেখা যায় তাদের। অতিরিক্ত শিকারের কারণে বিশ্বব্যাপী নীল তিমির সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে কয়েক বছর ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন পরিবেশবাদীরা।

নীল তিমির প্রজনন ব্যবস্থা

নীল তিমির সাধারণত দুটি মৌসুম থাকে। খাওয়ার মৌসুম ও প্রজনন মৌসুম। খাওয়ার মৌসুম সাধারণত শুরু হয় গ্রীষ্মকালে। উত্তর মেরুতে যখন শীতকাল, দক্ষিণ মেরুতে তখন গ্রীষ্মকাল। মেরু অঞ্চলে যখন শীত থাকে, সেই পুরো সময়টা তখন বিষুবরেখার কাছাকাছি উষ্ণ সাগর অঞ্চলে কাটিয়ে দেয় নীল তিমি। উত্তর ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের সাগরে গ্রীষ্মকালে কোটি কোটি ক্রিল থাকে।

এ সময় তারা প্রচুর পরিমাণে ‘ক্রিল’ খায় এবং প্রজনন মৌসুমের জন্য শক্তি জমা করে শরীরে। কারণ শীতকালে তারা খুব কম খাদ্য গ্রহণ করে। এ সময় তাদের শরীরে পুরু চর্বির আস্তরণ তৈরি হয়। শরৎকালের শেষ দিক থেকে সাধারণত তারা তাদের সঙ্গী খুঁজতে থাকে এবং মিলিত হয়। এর পরের এই মৌসুম থাকে শীত পর্যন্ত। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে তারা নতুন বাসস্থানের খোঁজে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়। এ সময়ই সঙ্গীর দেখা পায় তারা। এরপর তারা আবার গ্রীষ্মকালে উষ্ণ সাগরে ফিরে যায় সন্তান জন্ম দিতে।

নীল তিমি সম্পর্কিত সবচেয়ে মজার তথ্য হলো, এরা সমুদ্রে থাকলেও পানিতে শ্বাস নিতে পারে না। এরা মানুষের মতোই বাতাসে শ্বাস নেয়। তবে মানুষের মতো প্রতি মুহূর্তে নিঃশ্বাস নিতে হয় না তাদের। অন্তত ৩০ মিনিট পর্যন্ত দম না নিয়ে থাকতে পারে তারা। তিমি যখন নিঃশ্বাস ছাড়ে, তখন সে তার মাথার ওপর দুই ছিদ্র দিয়ে পানি ফোয়ারার মতো করে ছুড়ে দেয়। যা ৩০ ফুট পর্যন্ত ওপরে ওঠে। তার মাথার ওপরের এই ছিদ্রটি দিয়ে একটি ডলফিনও প্রবেশ করতে পারবে অনায়াসে।

রহস্যময় নীল তিমি অনেকটা জেগে থেকেই ঘুমায়। তারা পুরোপুরি ঘুমায় না। তাদের মস্তিষ্কের অর্ধেক ঘুমায়, বাকি অর্ধেক জেগে থাকে। কারণ হিসেবে মনে করা হয়, তিমি যদি ঘুমিয়ে পড়ে এবং সময়মতো না জাগে, তাহলে দম আটকে মারাও যেতে পারে। তাই তাদের অর্ধেক মস্তিষ্ক সব সময় জেগে থাকে, যাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ঘুমের মধ্যেও ভেসে উঠতে পারে। ঘুমের এ বিষয়টি বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন ইলেকট্রো এনসেফালোগ্রাফির (ইইজি) মাধ্যমে।

বিপন্ন প্রাণী নীল তিমি

১৯ শতকের প্রথম দিকে প্রায় প্রত্যেক মহাসাগরে নীল তিমি দেখা যেত। এক শতকের ব্যবধানে শিকারিদের উৎপাতে এই প্রাণীটি এখন বিলুপ্তির পথে। ১৯০০ সালের দিকে নীল তিমির তেল সংগ্রহে মানুষের আগ্রহের কারণে বিপুলসংখ্যক নীল তিমি নিধন করা হয়। ১৯০০ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার তিমি শিকারিদের হাতে মারা যায়। এরপর আন্তর্জাতিক তিমি কমিশন বাণিজ্যিকভাবে নীল তিমি শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা আইইউসিএন নীল তিমিকে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

শিকার ছাড়াও জেলেদের হাতে তিমি নিধন হয়। তিমি জেলেদের জালে আটকা পড়ে ডুবে যায় অথবা অভুক্ত থেকে শেষে মারা যায়। সমুদ্রে জাহাজ যাতায়াত বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুতগামী জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েও অনেক তিমি মারা যায়। ২০০২ সালের এক হিসাব মতে, সারা বিশ্বে অন্তত ১২ হাজার নীল তিমি রয়েছে। আইইউসিএন ধারণা করছে, বর্তমানে এর সংখ্যা হতে পারে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার।

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:২৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:২৮
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১৮
  • ১২:০৮
  • ৩:৪৮
  • ৫:২৮
  • ৬:৪৭
  • ৬:৪৪

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১