নিউজ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জে মডেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দাবি করেছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান। তিনি বলেছেন, কালো টাকার বিষয়ে সবখানে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। কারো বিরুদ্ধে এ ধরনের কাজের প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া মোড়ে নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ির অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণায় অংশ নেন ডিআইজি।
ডিআইজি বলেন, ‘আমরা আশা করছি নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভোটারদের সচেতন ও সতর্ক করতে আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। একই সাথে নির্বিঘ্নে ভোটদানের বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করতে চাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের। কখনই এর ব্যত্যয় হবে না। সে কারণে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। আগামীকাল একটি মডেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আশা করছি। নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সকলের কাছে যেন গ্রহণযোগ্য হয় সে চেষ্টা করছি।’
কি ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানতে চাইলে ডিআইজি বলেন, ‘কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।’
সিদ্ধিরগঞ্জের ওসিকে প্রত্যাহারে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে কাউকে প্রত্যাহার করা ঠিক হবে বলে আমি মনে করি না। তবে কমিশন মনে করলে প্রত্যাহার করবে। ইন্টেলিজেন্সেরও অনেকেই আছেন, কারো বিরুদ্ধে পক্ষপাতের প্রমাণ পেলে তারা ব্যবস্থা নিবে।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করে ডিআইজি বলেন, ‘অন্য জায়গার চেয়ে এখানে এখনো ভাল অবস্থা বিরাজ করছে। সুষ্ঠু পরিবেশেই নির্বাচন হবে।’
নির্বাচনে কারচুপি হতে পারে- এ ধরনের আশঙ্কার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশ্নই আসে না। ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ এ ধরনের কাজের সুযোগই কেউ পাবে না। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নারায়ণগঞ্জে সাড়ে ৯ হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ২০ জন) বিজিবি, এছাড়া ৪ হাজার পুলিশ ও প্রায় ৫০০ র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’