নিজিস্ব প্রতিবেদকঃ
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় জিকে খালে ভেসে যাওয়ার এক নারীকে বাঁচাতে গিয়ে ভেসে যাওয়া আবুল কালামকে ৩৬ ঘন্টা পর ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নের সাতকপাট নামক এলাকার জিকে খাল থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আবুল কালাম পৌর এলাকার কাঁচাবাজার পাড়ার প্রয়াত আব্দুল মজিদের ছেলে। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে দারুস সালাম ঈদগা ময়দানে জানাজা নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক নারীকে বাঁচাতে জিকে খালের পানিতে বৃদ্ধা আবুল কালাম ঝাঁপ দেন। তিনি উপস্থিত মানুষের সহযোগিতায় ওই নারীকে উদ্ধার করেন। তবে খালের পানির স্রোতে তিনি ভেসে নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালায়। ওই দিন রাতেই খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্য অভিজ্ঞ ডুবুরি দল নিখোঁজ বৃদ্ধাকে উদ্ধারে টানা ২৪ ঘন্টা অভিযান চালায়।
ডাউকি গ্রামের বাসিন্দা হাসেম আলী নামের এক কৃষক জানান, শনিবার সকালে জিকে খালে জাল পাততে আসি। এসময় পানিতে তীব্র দুর্গন্ধ এক ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা গণত্রাণ কমিটির সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীদের সহযোগিতায় খাল থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা এসে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে।
আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে শুক্রবার রাত ৯ পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। টানা ১৫ ঘণ্টা পরও নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি। খালের পানি বেশি থাকা ও পাশে জঙ্গল থাকায় উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যহত হয়েছিল। খালের প্রায় ৩ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উদ্ধার এলাকা থেকে আরও ১ কিলোমিটার দুর থেকে আজ শনিবার সকালে ওই বৃদ্ধার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, গত দুদিন নিহত ব্যক্তি খালের পানিতে নিখোঁজ ছিলেন। সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশের সুরতহাল সংগ্রহ করেছে।