নিউজ ডেস্ক:
ব্যাটিংয়ে নামার সময় লিটন দাস ও নাইম শেখ তথা গোটা বাংলাদেশ দল জানত জিততে হলে ১৬ ওভারে করতে হবে ১৪৮ রান। আর ব্যাটিংয়ে নামার পরে জানতে পারলেন ১৭১। খানিকবাদে সেটাও বদলে গেল! নতুন লক্ষ্য নির্ধারিত হল ১৭০। খেলোয়াড়ি কিংবা কোচিং; কখনোই এমন ঘটনা দেখেননি রাসেল ডমিঙ্গো। ফলে নিদারুণ হতাশ এবং অসন্তুষ্ট টাইগার হেড কোচ।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে লক্ষ্য দেওয়া নিয়ে ম্যাচ অফিসিয়াল যে তামাশা করল তা ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল। এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেছে কিনা তা বোধ করি কেউই মনে করতে পারবেন না। তবে কেউ মনে করতে পারলেও বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অন্তত পারছেন না। ক্রিকেটের সঙ্গে তার যতদিনের সংশ্লিষ্টতা সেখানে একটিবারের জন্যও এমন ঘটানা ঘটেনি বলেই দাবি তার। ম্যাচ অফিসিয়ালের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে তিনি রেগে ফুঁসেছেনও।
প্রথমে বলা হলো, জিততে হলে ১৬ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৪৮ রান। কিন্তু এক ওভার তিন বল পরে জানা গেল, লক্ষ্যটি বেড়ে গেছে। অর্থাৎ জিততে হলে মাহমুদউল্লাহদের চাই ১৭০ রান। এবং এটা নির্ধারণ করতে ম্যাচ চলাকালীন ৫ মিনিট ভাবতে হয়েছে স্কোরারদের। সেই পাঁচ মিনিট ম্যাচ বন্ধ ছিল। তাতে উষ্না প্রকাশ করেছেন রাসেল ডমিঙ্গো।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিংয়ে যাচ্ছে কিন্তু তারা জানে না লক্ষ্য কতো? আমি মনে করতে পারছি না এমন কোন ম্যাচের সঙ্গে কখনো আমার সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা। বাইরে প্রচুর বৃষ্টি ছিল। পাঁচ-ছয় ওভার পরেও আমাদের ধারণা ছিল না কতো রান লাগবে। আমি মনে করি লক্ষ্য চূড়ান্ত হওয়ারে আগে ম্যাচ শুরু হওয়া উচিত নয়।
‘তারা এজন্য অপেক্ষা করছিল (বাংলাদেশ), আমার ধারণা আপনিও। আপনি চূড়ান্ত লক্ষ্য পাওয়ার আগে কখনোই খেলা শুরু করতে পারেন না। তাদের তরফ থেকে ব্যখ্যা দেওয়া হতো, তারা প্রিন্ট আউট পেতে অপেক্ষা করছিল এবং একই সঙ্গে হিসেব কষতেও। তাদের নাকি দেরি হয়ে গেছে। এটা কোন কথাই হতে পারে না, খুবই হতাশাব্যঞ্জক।’
এরআগে নেপিয়ারে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই দফা বৃষ্টি বাগড়ায় পড়ার পরে ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টি আইনে ১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ ১৬ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে সংগ্রহ করেছে ১৪২ রান। তাতে ২৮ রানের জয়ে ২-০ সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।